যেভাবে গ্রেপ্তার ৭ ডাকাত ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় ডাকাতির ঘটনার ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসাথে জড়িত আন্ত:জেলা ডাকাদলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িসহ সরঞ্জাম।
রোববার দুপুরে পাবনা সদর থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, অপরাধীরা তাদের অপরাধের কোনো না কোনো ক্লু রেখে যায়। সেই ক্লু ধরে ডাকাতির রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডাকাত সর্দার সিরাজগঞ্জের বেলকুচী উপজেলার চর দুরগাগরাখালি গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৩৯), একই গ্রামের ফজল আলী (২২), একই উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের রাজু আহম্মেদ ওরফে রঞ্জু (৪৩), শাহজাদপুর উপজেলার রুপপুর গ্রামের ছাদেক আলী (৫২), একই উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের এরশাদ আলী ওরফে রাজা ওরফে গোলজার (৪২), পাবনা সদর উপজেলার পয়দা রহিমপুর গ্রামের দুলাল ফকির (২৬) ও আটঘরিয়া উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের মাহাতাব মৃধা (২৬)।
আটককৃতদের মধ্যে আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ৫টি মামলা, রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে ৫টি, ছাদেক আলীর বিরুদ্ধে ৭টি, এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে ৮টি, মাহাতাব মৃধার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতে সদর উপজেলার মালঞ্চি বাজারে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতদল চারটি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার, ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইলফোনসহ প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং ৯৩। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে পুলিশের একটি চৌকশ দল।
তারা পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে ডাকাত সর্দার আমিরুল ইসলামসহ দলের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক, একটি অটোরিকশা, একটি শাটারগান, দুই রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা হয় লুট হওয়া ১৩টি ফ্রিজ, ৫টি এলইডি টেলিভিশন, ৫টি মোবাইলফোন, ৪০টি স্ক্র্যাচ কার্ড ও ৩টি এমবি কার্ড, ডাকাতির মালামাল বিক্রয়লব্ধ ৭৯ হাজার ৮০৫ টাকা, ডাকাতদের ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কাটার মেশিন, হাসুয়াসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। আটককৃতদের রোববার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার, মাসুদ আলম, রোকনুজ্জামান, সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুল হান্নান সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।