রূপপুরে চলতি মাসেই নিউক্লিয়ার চুল্লি স্থাপন
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : করোনা মহামারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজে কোনো বাধা হয়নি উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেছেন, চলতি মাসেই ইউনিট-১-এ চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এ সময় তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ান নকশা, কারিগর ও আর্থিক সহায়তায় ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির দুটি রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিতে প্রকল্প কর্মকর্তা ও সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সঙ্গে বৈঠক করেছে একটি উচ্চপর্যায়ের সংসদীয় কমিটি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপকমিটির আহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে রোববার দিনব্যাপী দলটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন এবং দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা ও বিদ্যমান সংকট নিয়েও আলোচনা করেছে। তবে বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটি গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে রাজি হয়নি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে সংসদীয় কমিটির কাছে শিডিউল অনুযায়ী প্রকল্পের নির্মাণকাজের বিভিন্ন পর্যায়ের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ে শিডিউল অনুযায়ী এগোচ্ছে বলে প্রতিনিধিদল এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে জানিয়েছেন রাশিয়ান কর্মকর্তারা। প্রকল্পের নির্মাণ কাজে কাঁচামালের প্রাপ্যতার কিছু সংকটের কারণে ভোগান্তি হচ্ছে। তবে নির্মাণকাজে বড় কোনো বাধা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুর হোসেন, সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলী হোসেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর এবং আইএমইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের নির্মাণকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনায়, আইএমইডি কর্মকর্তারা প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের নির্মাণকাজের ধীরগতির বিষয়টি নজরে এনেছেন। সংসদীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুর হোসেন ও আদিবা আনজুম মিতা সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ান নকশা, কারিগর ও আর্থিক সহায়তায় ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির দুটি রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হবে। চলতি মাসেই ইউনিট-১-এ চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু করতে আমরা কাজ করছি। করোনা মহামারি এ প্রকল্পের নির্মাণকাজে কোনো বাধা হয়নি।’