কোভিড টিকা সর্বজনীন হোক: শেখ হাসিনা
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মহামারী মোকাবেলার লড়াইয়ে গতি আনতে কোভিড টিকার স্বত্ব কোনো দেশ বা কোম্পানির হাতে না রেখে বিশ্ববাসীর জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্রক সফররত প্রধানমন্ত্রী বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইনের আয়োজনে এক সম্মেলনে এই দাবি তোলেন।
মহামারী অবসান এবং অধিকতর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে হোয়াইট হাউজ আয়োজিত এই সম্মেলনে শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় টিকা প্রধান অস্ত্র হয়ে এলেও এর মেধাস্বত্ব গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিস্থিতি মোকাবেলার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকা ধনী-গরিব বৈষম্য প্রকটও করে তুলছে। শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বব্যাপী কার্যকর টিকা প্রদান নিশ্চিতে কোভিড -১৯ এর ভ্যাকসিনগুলো ‘গ্লোবাল পাবলিক গুড’ হিসাবে ঘোষণা করা প্রয়োজন।
“সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য, উন্নয়নশীল ও এলডিসি দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি অবশ্যই দিতে হবে।” বক্তব্যের শুরুতে এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) কোভিড-১৯ টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়ের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিলেও তাতে মতৈক্য হয়নি। মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকার তিন স্তরের পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে আগামীতে সুরক্ষিত ভবিষ্যত নিশ্চিতে আরও তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার এ পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ করেছে,দরিদ্র বয়স্ক,বিধবা,প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪৪ লাখ সুবিধাভোগীর জন্য ১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিতরণ করেছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন,বাংলাদেশে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষের বেশি মানুষকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের অগাস্টের মধ্যে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দিতে প্রতি মাসে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
এই মহামারীকালে ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করার জন্য সরকার তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। এসব পদক্ষেপে মধ্যে রয়েছে- প্রথমত,উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপর জোর দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতি প্রণয়ন; দ্বিতীয়ত,টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে উদ্ভাবন,কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের উপর জোর দেওয়া; তৃতীয়ত,জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং কার্বন নির্গমন কম করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানো।