রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু সপ্তাহব্যাপী ডুবন্ত সমস্যার সমাধান নতুন সেতুতেই ?

0

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে : দৃশ্য দেখে যে কোন কেহই বলে দিতে পারবে ৩৬ বছর পার হওয়া ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটিই যেনো একটা সময় পানিতে ডুবে থাকছে পর্যটন সেতু। অথচ মিলছে না কাংখিত সমাধান । এ ব্যাপারে রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যাবস্হাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন সেতুটি দেখতে আসে প্রকিদিন অসংখ্য মানুষ. যখন সেতুটি ডুবা থাকে বানিজ্যিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন কর্পোরেশন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন নির্মাণ শৈলীর কারনেই বর্তমানে সেতুটি সংস্কার করা কঠিন এবং ব্যযবহুল।তাই আরেকটি বিকল্প সেতু নির্মাণ যেতে পারে আরো আধুনিক ও নান্দনিক ভাবে.এর ফলে বৈচিত্র্য আসবে এবং দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে।

অনুসন্ধানে জানা যায় কেন সেতুটি প্রতিবছর ডুবে? এ বিষয়ে জানতে পারি কাপ্তাই হ্রদের একটি অংশের উপর রাঙামাটি অবস্হিত পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স। এর পাশের দুটো পাহাড়কে সংযুক্ত করে ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হয় ঝুলন্ত সেতুটি। কিন্তু তৎকালীন সময়ে কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদের পানির সম্পর্কে সঠিক ধারণা রখে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটিই সেতুটি স্থাপনের উচ্চতা নির্ধারনেই ত্রুটি রাখে ফলে বর্তমানে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য সেতুটি উদ্বোধনের দুবছর পরেই ১৯৮৭ সালে বর্ষা মৌসুমে সেতুটি পানির নীচে ডুবে যায়। রাঙামাটির সনামধন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন সেতু ডুবে যাওয়ার বিষয়টি ট্যুরিজম বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে এবং এর সমাধানে লিখিতভাবেও অবহিত করা হয়েছে।বিষয়টি আন্তরিক ভাবে কাজ করছে জেলা প্রশাসন.কারন এ সময়ে পর্যটন ও পর্যটকদের ক্ষতি হওয়া মানেই অর্থনৈতিক ক্ষতি।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বডুয়া বলেন সেতুটি নির্মাণ ব্যয় বেশি ছিলনা তাই ত্রুটি থাকায় সমস্যা রয়ে গেছে ফলে ভোগান্তি ও আছে। বর্তমানে সেতুটি সংস্কার করা কঠিন হবে। তারপরেও এ বিষয়ে একটি কারিগরি কমিটি রয়েছে বিষয়টি দেখভাল করছেন তারা। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা বলেন এ ব্রিজটির আরেকটির বিকল্প সেতু করা হলে সবচেয়ে ভালো হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.