খুব শীঘ্রই ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু করা হবে, ঈশ্বরদীতে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পরিদর্শন করার কথা থাকলেও রাত ৯ টায় তিনি বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন।
এর আগে বিকাল ৫ টায় রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনের পর রাত ৮ টায় ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে তাকে গন সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, পাবনা ৪ আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা ১ আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা সিরাজগঞ্জের (সংরক্ষিত আসনের) এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি।
এসময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, খুব শীঘ্রই যেন ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু করা হয় এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী পৌর সভার মেয়র ইসাহাক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মুরাদ আলি মালিথা, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার, সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ ফকির, সাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক রানা সরদার, যুবনেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, যুগ্ন আহবায়ক সজীব মালিথা প্রমুখ।
শুক্রবার বিকাল থেকে বিমানবন্দর চালুর দাবিতে ঈশ্বরদী রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে শহরের রেল গেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় অফিস, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, পাবনা সুগার মিলসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঈশ্বরদীতে। বর্তমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ইপিজেড ঘিরে কয়েকশ’ বিদেশি নাগরিকরা এখানে বসবাস করছেন। জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যাতায়াত করতে বিমানবন্দর থাকা সত্ত্বেও যাতায়াত করতে পারছেন না তারা। বারবার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ফ্লাইট চালু করার দাবি করা হলেও ঈশ্বরদী-ঢাকা-ঈশ্বরদী রুটে ফ্লাইট চালু হয়নি।
ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক দিলারা পারভিন জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের জন্য রানওয়ের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে এখানে বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর যখন ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হলে তৎকালীন বিমানমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান ঘোষণা দেন, আর কোনদিন এ বিমানবন্দর বন্ধ হবে না। কিন্তু ৬ মাস ১১ দিন পর ২০১৪ সালের ২৯ মে বন্ধ হয়ে যায় বিমান বন্দরটি।
বর্তমানে বিমানবন্দরটিতে একজন কর্মকর্তা, ১২ জন কর্মচারী ও ১৩ জন আনসারের বেতন বাবদ প্রতি মাসে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে গুনতে হচ্ছে প্রায় ৬ লাখ টাকা।