অবশেষে দেশে চালু হচ্ছে পেপ্যাল
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ফ্রিল্যান্সারদের আয়ে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানের লড়াইয়ে ভারতকে টেক্কা দিচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বড় একটি অর্জন হিসেবে যুক্ত হয়েছে এই ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রম। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্টার্টআপ ও আইসিটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু এত সব আয়োজন বেশ সমস্যার মুখোমুখি ছিল এক পেপ্যালকে নিয়ে। বিগত ৪ বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেও দেশে চালু করা যায়নি পেপ্যালের কার্যক্রম। কিন্তু অবশেষে দীর্ঘ এই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম পেপ্যাল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গতকাল শনিবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে একথা জানান তিনি।
২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর পেপ্যাল ‘জুম’ সেবা উদ্বোধন করা হয়। আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পেপ্যালের ‘ইনওয়ার্ড সার্ভিস’ জুমের মাধ্যমে বিদেশ থেকে খুব সহজে ও কম সময়ে দেশে টাকা পাঠানো যায়। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে সেকেন্ডের মধ্যে দেশে টাকা চলে আসে। তারপরও এই সার্ভিসটি দেশে জনপ্রিয়তা পায়নি, যার মূল কারণ এই সেবার মাধ্যমে লেনদেন করতে না পারা। উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছিলেন, চালুর দিন থেকেই সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, সোশ্যাল ইসলামী, উত্তরা, পূবালী, সিটি ও ইসলামী ব্যাংকে এই সেবা চালু হচ্ছে। বাকি ব্যাংকগুলোকে এ সেবা চালু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে মাত্র তিনটি ব্যাংকে পেপ্যাল ‘জুম’ সেবা চালু আছে। আর এ কারণেই এই সেবা ব্যবহারে আগ্রহ দেখায়নি দেশের ফ্রিল্যান্সাররা।
পেপ্যাল কী : মার্কিন প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল হোল্ডিংস বিশ্বব্যাপী অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। এটি অনলাইন অর্থ স্থানান্তর ও প্রচলিত কাগুজে পদ্ধতির পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ইন্টারনেট পেমেন্ট কোম্পানি হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় মাধ্যম এটি। ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক বাজারের বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করার বিপরীতে পেপ্যালের মাধ্যমে তাদের নির্ধারিত বেতন বা অর্থ নিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে এই সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে আসছিল ফ্রিল্যান্সাররা।