ই-কমার্সে প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে কর্মশালা
সাইফুর রহমান: এটুআই এবং অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর যৌথ আয়োজনে ই-কমার্সে প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তা তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে ব্যবসা উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত। তাদের উদ্যোক্তা কবার যাত্রা কোনো ভাবেই মসৃণ ছিলো না। তাদের চলার পথে রয়েছে নানা প্রতিকূলতা। এ প্রতিকূলতা দূর করতে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তারা কিভাবে তাদের উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের একমাত্র ই-কমার্স এগ্রিগেশন প্লাটফর্ম একশপ এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারে সে বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব), এটুআই এর সভাপতিত্বে এবং মানিক মাহমুদ, হেড অব সোশ্যাল ইনোভেশন এন্ড অপারেশন ক্লাস্টার, এটুআই এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাম চন্দ্র দাস, মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদিত্য কুমার রায়, প্রজেক্ট ডিরেক্টর, প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, প্রভাষ চন্দ্র রায়, পরিচালক (যুগ্ম সচিব), জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও আলবার্ট মোল্লা, নির্বাহী পরিচালক, অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। উইবিনারে আয়োজকদের পক্ষে এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক স্বাগত বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভায় রেজওয়ানুল হক জামি, টিম লিড, রুরাল ই-কমার্স (একশপ) এবং ভাষ্কর ভট্টাচার্য্য, অ্যাকসেসিবিলিটি কনসালটেন্ট, কাস্টমার ইনোভেশন ল্যাব, এটুআই ই-কমার্সে সম্পৃক্ত হতে একজন উদ্যোক্তার কিকি দক্ষতা প্রয়োজন ও কি করণীয় সে বিষয়ে একটি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন এবং নারী উদ্যোক্তাদের একশপ এ যুক্ত হবার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সভায় প্রধান অতিথি এবং অন্যান্য বক্তারা নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স ব্যবসায় স্বাধীনভাবে নিয়োজিত হয়ে স্বাবলম্বী হবার মাধ্যমে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত সংগঠন, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, এনজিও, সুশীল সমাজসহ মোট ৭৮ জন প্রতিনিধি।