নওয়াপাড়াসহ রাষ্ট্রয়াত্ব পাটকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানবেতর জীবন!

0

যশোর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনের অধিনস্থ রাষ্ট্রয়াত্ব ২৬ পাটকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। ২০২০ সালের জুন মাসের এ নোটিশে বন্ধ করে দেয়া হয় খুলনাঞ্চলসহ দেশের ২৬টি পাটকল।

জুলাই মাসের ২ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শ্রমিকরা মিল থেকে বের হয়ে আসার পরে তারা আর মিলে ঢুকতে পারেনি। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন উপায়ে মিলের স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবী দাওয়াসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালের জুলাই মাসের পর যেসকল কর্মকর্তা কর্মচারী অবসরে গিয়েছে তাদের ভবিষ্যত তহবিল বা চুড়ান্ত কোন পাওনা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। বঞ্চিত করা হয়েছে সাপ্তাহীক মুজুরী থেকে।

অবসরকালীন ভাতা না পেয়ে চরম হতাশায় দিন পার করছেন তারা। এমতবস্থায় জেজেআই, কার্পেটিং, আলিম, ক্রিসেন্ট, স্টার জুট মিল সহ ২৬টি মিলের প্রায় ১০ সহস্রাধীক কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব মিলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। জেজেআই মিলের সাবেক ইউডিএ (প্রধান ভান্ডার) রেজাউল ইসলাম ফারাজী বলেন, ২০১৪ সালের ১৭ই মে আমি অবসর গ্রহণ করি অথচ ৮ বছর পার হলেও আমাদের এখনো পর্যন্ত চুড়ান্ত কোন পাওয়া পরিশোধ করা হয়নি।

পরিবার পরিজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছি। ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ, চিকিৎসার খরচ, বাজার খরচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজন মেটাতে রিতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। একই মিলের আরেক অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে আমাদের দূরাবস্থার কথা বলে বোঝানো সম্ভব না। প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ কোন ইনকাম না থাকায় মানবেতর জিবনযাপন করছি।

সরকার যদি আমাদের পাওনা পরিশোধ করে দেয় তবে আমাদের দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক হিসাব নাম্বার নেওয়া হলেও আর কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। রাজঘাট কার্পেটিং মিলের প্রসাশন বিভাগীয় প্রধান নাসির উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, কেন যে সরকার এ টাকাটা আটকে রেখেছে সে ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই, কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তাও বলা আমার পক্ষে সম্ভব না।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.