`শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ ৩৪ শতাংশ সম্পন্ন`
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি পিলারের পাইলিং কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিনিয়তই দৃশ্যমান হচ্ছে সেতুটি। রেলসেতুটি নির্মিত হলে যাত্রীদের বাঁচবে সময়, কমে আসবে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়। একই সঙ্গে প্রসার ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যেরও।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানীর সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ায় কমিয়ে দেয়া হয় ট্রেনের গতি। এতে সময়ের অপচয় ও শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
২০২০ সালের ২৯শে নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর থেকেই চলছে সেতু নির্মাণের কর্মযজ্ঞ।
সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে নদীর দু’প্রান্তে দুটি ভাগে চলছে সেতুর নির্মাণ কাজ। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩শ’ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুটি নির্মিত হবে ৫০টি পিয়ারের ওপর। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ১০টি পিয়ারের পাইলিং কাজ। সেতুটি বাস্তবায়ন হলে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
সেতুর কাজের অগ্রগতি ৩৪ শতাংশ বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, এই সেতুটি চালুু হলে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ব্রডগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে এবং মিটারগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করা যাবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা জানান রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। বর্তমানে যে অগ্রগতি আমরা আশা করছি সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে এটির কাজ এগিয়ে যাবে।
এদিকে, এই সেতুর মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যেরও দ্রুত প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। সিরাজগঞ্জ চেম্বার অফ কর্মাসের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য বলেন, বৃটিশ আমলে সিরাজগঞ্জ ছিল ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র। এই সেতু চালু হলে সেটি আমরা পুনরুদ্ধার করতে পারব।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, যাতায়াতের সুবিধা হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ বেশি বেশি উপকৃত হবে। রেলসেতুটি নির্মাণ হলে একদিকে যেমন উত্তরের যোগাযোগ খাতে নবদিগন্তের সূচনা হবে, তেমনি খুলবে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার।