পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন রেজাউল রহিম লাল সভাপতি, গোলাম ফারুক প্রিন্স সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালকে সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিতে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। সেইসাথে তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি তৈরীর নির্দেশ দেয়া হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পরে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সের সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার উন্নয়ন রুখে দিতে দেশে-বিদেশে শত্রুতা আর ষড়যন্ত্র চলছে। আর ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে নিজেদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আড়াই বছর অতিক্রান্ত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে হলে কঠিন ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ পরাজয় হলে নিজেদের কারণে পরাজিত হবে।
উদ্বোধকের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না। অন্ধকারের পথ ধরে ক্ষমতায় আরোহন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিএনপি চায় না। তারা চায় চোর তারেক জিয়াকে দেশে এনে কিভাবে সরকার গঠন করে নতুন রুপে দেশের মানুষের সম্পদ চুরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঘরে বসে বিএনপি আওয়ামী লীগের বিদায় ঘন্টা বাজায় বলেই নৌকার ভোট বাড়ে আর বারবার সরকার গঠন করে। বিএনপি জামাতের কোন রাজনীতি নেই দাবী করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীতে তারা ছিল ঘরের মধ্যে ও জীবন বাঁচাতে। আওয়ামী লীগ সরকার তথা নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিএনপি জনগনের সাথে নেই। খালেদা জিয়ার জীবন মরন ও বাঁচার জন্য রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
পাবনা পুলিশ লাইনস মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
এ সময় পাবনা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ আসনের সাংসদ মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজু, পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি, পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি খন্দকার আহমেদ শরীফ সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।