‘সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপ’ ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে আরও গভীর করছে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ‘সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপ’ ওয়েবপোর্টাল চালু করা বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষে মানুষে যোগাযোগের আরেকটি পদক্ষেপ। এটা শুধু বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ভারতে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা নয় এটা দু’দেশের বন্ধুত্বের স্বাক্ষর বহন করে। আমাদের এসব পদক্ষেপ দু’দেশের বন্ধুত্বকে আরও গভীর করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই শুধু ঢাকার নয়, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভারতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাক। সে কারণেই এ্ ওয়েব পোর্টালের যাত্রার উদ্যোগ নেওয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভারতে পড়াশোনা করে এসে বাংলাদেশে তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে পারবে। একইসঙ্গে ভারতে শুধু লং কোর্স নয় শর্ট কোর্সের তথ্যও এখানে থাকবে। যার মাধ্যমে প্রফেশনাল দক্ষ কর্মীরাও ভারতে কোর্স করে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুলশানের ইন্ডিয়া হাউজে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিশেন্স ওয়েব পোর্টাল ‘সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপ’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে এসব কথা বলেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সেখানে ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকার উদ্যোগে এবং ইন্দিারা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এক মনোমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক বন্ধনকে তুলে ধরতে ‘বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী নৃত্য’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকার হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। নৃত্যে বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন শিল্পী আনিসুর রহমান হিরু ও তার দল সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার।
এরপর শিল্পীরা একে একে পরিবেশন করেন বাংলাদেশর ঐতিহ্যবাহী নৃত্য। বিভিন্ন গানের সুরে তারা ফুটিয়ে তোলেন বাংলার সংস্কৃতিকে। এরমধ্যে ছিল-অঞ্জলি লহো মোর সঙ্গীতে, নাও ছাড়িয়ে যে মাঝি পাল উড়াইয়া দে, সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’, ‘চল চল চল ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল’ এবং বিভিন্ন দেমাত্মবোধক সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য। এরমধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করেন শিল্পীরা। নৃত্যে অংশ নেওয়া শিল্পীরা হলেন-চাঁদনি, নিসা, প্রমী, সুস্মিতা, কাজল, সাবা, রুম্পা, রাজর্ষি, বৃষ্টি, পুতুল, ঐন্দ্রিলা, আলোকিতা, হিরো, তপন, প্রান্তিক, হাবিব, ইমন, সনি ও সিতাব।