বিচারপতিদের অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বিচারপতিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অবসরকালীন বেশ কিছু সুবিধা বাড়িয়ে খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সেগুলো যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রিপরিষদের আগামী বৈঠকে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এ সম্পর্কিত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশেসমূহের বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন সুপ্রিম কোর্ট জাজ (লিভ, পেনশন এন্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিনেন্স, ১৯৮২ সময়োপযোগী করে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২২ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়। প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি সময়োপযোগী করার উদ্দেশ্যে পূর্বের আইনের কিছু বিধান সংশোধন করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখের স্মারকমূলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টেও বিচারকরা পেনশন পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত সুবিধাদি ইতোমধ্যে প্রাপ্ত হওয়ায় এবং চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ অনুসারে সরকারি কর্মচারীরা ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা ভোগ করায় বিচারকগণের জন্য এরূপ সুবিধাদি খসড়া আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া আইনজীবী হতে নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ভবিষ্য তহবিল সংক্রান্ত বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর সুবিধা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্তিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত খসড়া আইনটির উপর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত এবং গত ২৫ মে ২০২১ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধারা ১৪তে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইন অনুসারে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস থেকে বিচারক নিয়োগের বিধান থাকায় মূল আইনের সিভিল সার্ভিস শব্দগুলোর পরিবর্তে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ধারা ১৯ এ প্রস্তাব করা হয়েছে, অর্থ বিভাগ, প্রবিধি অনুবিভাগ, প্রবিধি-১ অধিশাখার ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল দেয়া চিঠিতে ১৫ বছর অতিক্রান্তের পর বিচারপতিদের পেনশন পুনঃস্থাপন বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে বিধায় উক্ত বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ধারা ২০-এ প্রস্তাব করা হয়েছে, চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মচারী ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধাপ্রাপ্ত হন বিধায় বিচারদের ক্ষেত্রে উক্তরূপ সুবিধাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খসড়া আইনের ১৬ নং ধারায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিফ জাস্টিস অব দ্য সুপ্রিম কোর্ট শব্দগুলোর স্থলে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অবসরগ্রহণের পূর্বে বা পরে মৃত্যুবরণ করলে ১৫ বছর পর্যন্ত পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তির বিধানটি বর্তমানে প্রচলিত নেই বিধায় বিচারকদের ক্ষেত্রে উক্ত সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ধারা ১১তে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পারিবারিক পেনশনের বিধানাবলি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।