বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ফলপ্রসু আলোচনার পর বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়ায় ফের বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলে স্থলবন্দরটির কার্যক্রম শুরু হয়। এতে বন্দরে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য।
এর আগে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃক বেনাপোলের দুটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাসপেন্ড ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি, বাণিজ্যসহ বন্দরের পণ্য লোড-আনলোড।
গতকাল সকাল নয়টা থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানিসহ বন্দর ও কাস্টমস’র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারী ৫ সংগঠনের কর্মীরা কাজে যোগদান করেন। গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সের (শুল্কমুক্ত) মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্স’র ২টি চালান বহনকারী ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, বিস্ফোরক দ্রব্য, সিগারেট, কারেন্ট জাল শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বেনাপোলের সিএন্ডএফ শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী শাসুল ইসলামের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃক দুটি সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের পণ্য লোড আনলোড।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, আমাদের সাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করার আশ্বাস দেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় বন্দর ব্যবহারকারীরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছেন। বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য কাস্টমসের সকল কর্মকতা, কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।