রেলওয়ের জন্য ২০০ ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ কেনা হবে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দিতে রেলওয়ের জন্য ২০০টি ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ কেনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০ ব্রডগেজ (বিজি) প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে। একনেকে অনুমোদন পেলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ থেকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে বলে একনেক কার্যপত্র থেকে জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ এবং ডুয়েলগেজ সেকশনে যাত্রীবাহী ক্যারেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এতে ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য নতুন রেল পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্প অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রেলওয়ের যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ১ হাজার ৭০৪টি কোচ ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ ক্রয় করা হবে। যা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় একনেক বৈঠক শুরু হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০ ব্রডগেজ (বিজি) প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৭০৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩৭৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং ইআইবি থেকে ১ হাজার ৩৩১ কোটি ১৯ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে জুন ২০২৫ সালে বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাংলাদেশ রেলওয়ের সমগ্র ব্রডগেজ এবং ডুয়েলগেজ সেকশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রুটে রেল পরিচালনা, পুরোনো এবং আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া যাত্রী ক্যারেজগুলো প্রতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা। প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ ক্রয়, ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজের ক্যাপিটাল ও মেইন্টেন্যান্স স্পেয়ার্স সংগ্রহ, ৪ সেট ডেস্কটপ কম্পিউটার, ২টি ল্যাপটপ, ২টি ফটোকপিয়ার এবং ২৪টি বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।