চুয়াডাঙ্গায় ভৈরব নদ খননের সময় শত বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার
বিপুল আশরাফ, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভৈরব নদ খননের সময় শত বছরের পুরোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন ভৈরব নদ খননের সময় এগুলো দেখতে পান শ্রমিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও হাড় শতাধিক বছরের বেশি পুরোনো। বিষয়টি জানাজানি হলে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও হাড় দেখতে ভীড় জমান কৌতুহলী জনতা । বিট্রিশ আমলে ভৈরব নদ দিয়ে ভারতের কলকাতা যাওয়ার পথে জাহাজটি ঢুবে যায়।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুরে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বরে ভৈরব নদ খননের কাজের উদ্বোধন করা হয়। আজ সকালে কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন নীল কুঠিরের নিচে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভৈরব নদ খননের সময় ব্রিটিশদের পণ্যবাহী কয়েকশত বছরের পুরোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের দেখতে পান চালক। পরে বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান ঠিকাদার।
কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম জানান, ভৈরব নদ দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা থেকে কলকাতায় বাণিজ্য করতো ব্রিটিশরা। এখানে নীল কুঠি ছিল। সেই সময় প্রাকৃতির দুর্যোগ বা কোন দুর্ঘটনায় ডুবে যেতে পারে জাহাজটি। মাটি খনন করলে হয়তো আরও মূল্যবান সম্পদ পাওয়া যেতে পারে।
কোমরপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আমির হোসেন জানান, আমার বাবার মুখে শুনেছি এখানে ঝড়ে সাহেবদের একটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। আমার দাদা সাহেবদের কর্মচারী ছিলেন। পরে জাহাজটি আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, জাহাজটি বেশ পুরোনো। আপাতত জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড় উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন।