কোটি পরিবারে হাসি ॥ টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : নিত্যপণ্যের উর্ধগতির মধ্যে এবার রমজানে দেশের এক কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যের খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সরকারী এই সহায়তায় দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কোটি পরিবারে হাসি ফুটেছে। আগামীতে সারা বছর যাতে এই কর্মসূচী চালিয়ে নেয়া যায় সেই দাবিও তুলেছেন সাধারণ ভোক্তারা। ব্যাপক সাড়া পড়ায় আগামী কোরবানি ঈদের আগে সারাদেশে আবার টিসিবির এই কার্যক্রম শুরু করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। সরকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের এই কার্যক্রমে নিত্যপণ্যের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাজারের ওপর চাপ কমায় সাধারণ ভোক্তারাও মোটামুটি ন্যায্যমূল্যে ভোগ্যপণ্য কিনতে পেরেছেন। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে একটি পরিবার রোজার আগে ও মাঝমাঝি সময়ে দুইবার করে ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল ও ২ লিটার তেল কিনতে পেরেছেন। এতে প্রতি লিটার তেলের মূল্য হবে ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা ও প্রতি কেজি মসুরের ডালের দাম ধরা হয়েছে ৬৫ টাকা। এছাড়া রোজার মাঝে ২ কেজি ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর যুক্ত করে বিক্রি করা হয়েছে। এতে কম দামে ইফতারি পণ্যসামগ্রী কিনতে পেরেছেন উপকারভোগীরা। টিসিবির পণ্য পেয়ে খুশি হয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, আগামীতে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির খাদ্য সহায়তা পাবে ঢাকা মহানগরীর ১২ লাখ পরিবার। এতে উপকৃত হবেন প্রায় ৬০ লাখ স্বল্প আয়ের মানুষ। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ১২ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বরাদ্দ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকে শুধু কার্ডধারী পরিবারগুলো টিসিবির পণ্য পাবেন। এতে লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে টিসিবির পণ্য কেনার আর কোন সুযোগ থাকছে না। সারাদেশের মতো ঢাকায় ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করায় স্বল্প আয়ের মানুষ বেশি উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তালিকা প্রণয়নে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। যারা অসহায় এবং পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী শুধু তারাই যেন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পান সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে দিন দিন স্বল্প আয়ের ভাসমান মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এসব মানুষের দিক চিন্তা করেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭ লাখ এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ৫ লাখ ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির উপকারভোগীদের অনুকূলে ফ্যামিলি কার্ড প্রদানে সম্প্রতি একটি পরিপত্র ইস্যু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি কর্মপরিরিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে। পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুরের মতো খাদ্যপণ্যের বরাদ্দ থাকবে। তবে নতুন কোন পণ্য সংযোজন-বিয়োজন হলে তা সময়মতো জানিয়ে দিবে টিসিবি কর্তৃপক্ষ। পরিবার প্রতি পণ্য বরাদ্দের পরিমাণ যথাসময়ে জানানো হবে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জনকণ্ঠকে বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড প্রদান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ কার্ডের মাধ্যমে সারাদেশের স্বল্প আয়ের এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। রমজানের আগে ও পরে দুদফায় সারাদেশে পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে।
শুধু তাই নয়, এক কোটি পরিবারকে সহায়তা করা মানে এ থেকে উপকৃত হয়েছেন ৫ কোটি মানুষ। এসব দিক বিবেচনায় ঢাকা মহানগরীতেও ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রায়ই অভিযোগ আসে, লাইনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি একাধিকবার পণ্য নিচ্ছেন আবার প্রকৃত উপকারভোগী যাদের পাওয়ার কথা তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। ট্রাকসেলে এটা আইডেন্টিফাই করা কঠিন। এ কারণে ফ্যামিডি কার্ড থাকলে কেবল সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিই পণ্য পাবেন। এক্ষেত্রে স্বচ্ছ তালিকা প্রণয়ন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। সেই কাজটি সিটি কর্পোরেশনকে দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। জানা গেছে, বরাদ্দকৃত ফ্যামিলি কার্ড নির্দিষ্ট মানদ-ের ভিত্তিতে নির্বাচন করতে হবে। উপকারভোগী নির্বাচন যাচাই-বাছাই ও তালিকা প্রণয়নের জন্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে ওয়ার্ড কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর। সভাপতি হিসেবে থাকবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা, কর কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে থাকবেন। এতে সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন ওয়ার্ড সচিব। উপকারভোগী নির্বাচনের সময় ভোটার, নন ভোটার, দরিদ্র অসহায়, খেটে খাওয়া দিনমজুর, নির্বিশেষে স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোন প্রকল্প হতে স্থায়ীভাবে কোন সহায়তা প্রাপ্ত হলে তাকে বা সেই পরিবারকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এছাড়া স্থায়ী ঠিকানায় টিসিবির পণ্য পেলে তিনিও তালিকায় আসবেন না। চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী প্রাপ্ত ফ্যামিলি কার্ডের নম্বর ও উপকারভোগীর নাম একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। পুরো বিষয়টি সমন্বয়ের জন্য মেয়রকে সভাপতি করে ১২ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করতে হবে। এতদিন তালিকা না থাকায় একই ব্যক্তি একাধিকবার পণ্য পাচ্ছেন কিংবা অনেক পরিবার বঞ্চিত হয়েছেন। তাই অপেক্ষাকৃত স্বল্প আয়ের মানুষ বা উপকারভোগীদের অনুকূলে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হবে।
৫ কোটি মানুষের মুখে হাসি ॥ রমজানের আগে ও মাঝে টিসিবির স্বল্পদামের পণ্য পেয়ে কোটি পরিবারে হাসি ফুটেছে। রমজান মাস সামনে রেখে দেশের ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির ভোগ্যপণ্য পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে টিসিবি ভর্তুকি মূল্যের খাদ্য সহায়তার এই কার্যক্রম গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে সেই সময় বলেছিলেন- ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দেশের কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। এর ফলে বাজারের ওপর চাপ কমবে। সাধারণ মানুষও নিত্যপণ্য কম দামে কেনার সুযোগ পাবেন। সরকারী এ কার্যক্রমের ফলে দেশব্যাপী প্রায় ৫ কোটি দরিদ্র মানুষ সরাসরি উপকৃত। দুই কিস্তিতে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছেন তারা সবাই টিসিবির পণ্য পাবেন। বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ঠিক একইভাবে আগামী কোরবানি ঈদের আগে ঢাকায় টিসিবির পণ্য ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দেয়া হবে। এছাড়া বরিশাল সিটি কর্পোরেশনেও ৯০ হাজার পরিবারকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে।
ভিড় বাড়ছে টিসিবির ট্রাকের সামনে ॥ করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, কোভিড-১৯ কারণে গত বছর থেকে এ পর্যন্ত বেকার হয়েছেন ২৬ লাখের বেশি মানুষ। কর্মজীবীদেরও আয় কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। অন্যদিকে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের বাজারও অনেক চড়া। এ অবস্থায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ আয়ের মানুষের পাশাপাশি এখন মধ্যবিত্তরাও লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্যসামগ্রী কিনছেন। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই সব সামগ্রী শেষ হয়ে যায়। পণ্য শেষ হওয়ার পরও থাকে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। এ প্রসঙ্গে টিসিবির একজন ডিলার বলেন, আগে টিসিবির লাইনে নিম্নবিত্ত মানুষেরই প্রাধান্য ছিল বেশি। কিন্তু গত বছরের রোজার মাস থেকে মধ্যবিত্তের ভিড় বাড়তে থাকে। এখন দৃশ্য এমন হয়েছে যে, নিম্নবিত্তের চেয়ে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যাই বেশি। খিলগাঁও এলাকার একজন ডিলার বলেন, টিসিবির পণ্য মধ্যবিত্তরাই বেশি কিনছেন। পাঁচ লিটার তেলের দাম ৭৬০-৭৮০ টাকা। এত দাম দিয়ে তেল কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। অন্যদিকে টিসিবি থেকে ২২০ টাকা দিয়েই ২ লিটার সয়াবিন তেল কেনা যায়। তিনি বলেন, আগে শতকরা ২০ জন ক্রেতা মধ্যবিত্ত থাকলে এখন শতকরা ৮০ জনই মধ্যবিত্ত। রাজধানীর কয়েকটি বিক্রয় পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার চাহিদার তুলনায় টিসিবির ট্রাকে পণ্যের পরিমাণ কম। ফলে ভোক্তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ডিলারদের। মিরপুর এলাকার একজন ডিলার বলেন, যে অবস্থা চলছে, টিসিবি ১০ গুণ পণ্য দিলেও তা মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। করোনা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে টিসিবি ডিলারদের পণ্যের পরিমাণ বাড়ালে ভোক্তারা উপকৃত হবে বলে মনে করেন এ ডিলার।
এ প্রসঙ্গে টিসিবির যুগ্ম পরিচালক ও মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জনকণ্ঠকে বলেন, টিসিবির ক্রেতায় মধ্যবিত্তদের প্রাধান্যের বিষয়টি আগেই লক্ষ্য করেছেন তারা। তাদের কথা মাথায় রেখে সারাদেশে টিসিবির কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পণ্যের পরিমাণও। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টিসিবি ন্যায্যমূল্যের টিসিবি চার ধরনের ভোগ্যপণ্যের বিক্রি করছে। এখন নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনছেন। কিন্তু টিসিবির কার্যক্রম বর্তমান প্রেক্ষাপটে সীমিত ও ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ। মোট চাহিদার মাত্র ৫ থেকে ৮ শতাংশ পূরণ করতে পারে টিসিবি। তবে টিসিবির কার্যক্রম বাড়ানোর সুযোগ আছে। এজন্য সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপের সঙ্গে সমন্বয় করে টিসিবির কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। এ বিষয়ে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জনকণ্ঠকে বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টিসিবির ট্রাকসেল। তবে এটা দিয়ে পুরো দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কারণ টিসিবির যে সক্ষমতা আছে তা দিয়ে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ক্ষুদ্র একটা অংশ পূরণ করা সম্ভব। যারা টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন তারাই সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, টিসিবির কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে।
জানা গেছে, অন্যান্য বার যে পণ্য দেয়া হয় এবার তার তিনগুণ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যে তালিকা করা হয়েছে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দেয়া হচ্ছে। এতে একজনেরটা আরেকজনের কাছে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে প্রকৃত কার্ডধারীরাই পণ্য পেয়েছেন। এক কোটি পরিবার পণ্য পাওয়ায় এ থেকে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ৫ কোটি মানুষ। সরকারী এক হিসাবে বলা হয়েছে- প্রতি পরিবার থেকে গড়ে ৫ জন করে টিসিবির ভোগ্যপণ্যের সুবিধার আওতায় এসেছেন। দেশব্যাপী সুবিধাভোগী পরিবারের তালিকায় করোনাভাইরাসের মহামারীর সময় নগদ সহায়তা পাওয়া ৩০ লাখ পরিবারও রয়েছে। এছাড়া পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনসংখ্যার দারিদ্র্যের সূচক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার কার্ড। এছাড়া নতুন তালিকা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে কোটি পরিবারের হাতে টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।