ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের তাগিদ
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের আদলে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নেওয়া শতবর্ষী ‘ডেলটা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের তাগিদ দিয়েছেন দেশ-বিদেশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, ‘ডেলটা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে প্রথম কাজেই হচ্ছে সরকারের সব বিভাগ, মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় তৈরি করা। শতবর্ষী এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের বিষয়টিকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তারা। এ জন্য একাধিক সুপারিশ দিয়েছেন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো। পাশাপাশি অর্থায়ন এবং এ প্রকল্পের সঙ্গে তরুণ প্রতিনিধিদের যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন: সমস্যা ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্যে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. কাওসার আহমেদ। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি নীতি নির্ধারক, গবেষক, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেন।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। ড. কাওসার আহমেদ বলেন, দুদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো ওঠে এসেছে। পাশপাশি করণীয় সম্পর্কে জানা গেছে। আলোচক বিশ্লেষক ও অতিথিরা সব থেকে বেশি যে বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছে তা হলো অর্থায়ন ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের বিষয়টি। আমরা গুরুত্বসহকারে তাদের সুপারিশগুলো গ্রহণ করেছি। তিনি মূলত এ সম্মেলনে বেশকিছু সেমিনারে আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের নদী ব্যবস্থাপনা, নদী ব্যবস্থা, শহর এলাকা এবং কৃষি রূপান্তরের বিষয়গুলোর বিষয়ে জোর দিয়েছে তারা। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এ ডেল্টাপ্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আমরা শতবর্ষী এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আশাকরি, আমরা তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো। আর এর সুফল পাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেশি প্রয়োজন আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়। এসময় তিনি বাংলাদেশের পাশে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোকে থাকার আহ্বান জানান।