বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান বাংলাদেশের

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। ফলে গেস্নাবাল ইকোনমিতে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতি নিয়ে এমন মূল্যায়ন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

কোনো দেশের উন্নয়নে সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং দক্ষ জনশক্তি, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, ইনোভেটিভ আইডিয়া ও এক্সিলারেশন অত্যন্ত প্রয়োজন মন্তব্য করে মার্সি টেম্বন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। ফলে বাংলাদেশ এখন টেক-অফ করার পর্যায়ে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কাউকে মডেল হিসেবে নয় বাংলাদেশকেই অন্য দেশ মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি । সেক্টরসহ সার্বিক ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা আরও প্রসারিত হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কৌশলগত বিষয়ে দ্রম্নত সমাধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন। আগামীতেও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এমন সম্পর্ক বজায় থাকবে এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় আইসিটি বিভাগে ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন’ এবং ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি’ নামে দুটি পৃথক প্রকল্প চলমান। দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করতে ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে তরুণ প্রজন্ম চাকরি খোঁজার পরিবর্তে চাকরি সৃষ্টির প্রতি অধিক মনোযোগী হবে। অথচ ১৩ বছর আগে দেশের স্বল্পশিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম কর্মসংস্থানের জন্য গার্মেন্টসহ অন্যান্য শ্রমনির্ভর শিল্পের ওপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে তারা আইটি শিল্পে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। এছাড়া স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের হার বাড়ানো এবং জেন্ডার ইনক্লুসিভ ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ তৈরি করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।

পলক বলেন, ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি’ প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এবং দেশীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্পের প্রসার ঘটানো। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপস্নব মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইসু্য দ্রম্নত নিষ্পত্তি এবং বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য কান্ট্রি ডিরেক্টরকে অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে নিয়মিত সমন্বয় সভার জন্য পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের পরিচালক ডক্টর মুহম্মদ মেহেদী হাসান, ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান; স্টার্ট আপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ এবং ইনোভেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন স্পেশালিস্ট মো. আব্দুল বারীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.