৩০-৩৫ দিনের জ্বালানি তেল মজুদ আছে : প্রধানমন্ত্রী
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে মজুদকৃত জ্বালানি তেল দ্বারা ৩০ থেকে ৩৫ দিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহের জন্য ছয় মাসভিত্তিক চুক্তি হয়ে থাকে। বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেল নিয়ে দুটি জাহাজ দেশে এসে পৌঁছবে। অর্থাৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশে জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে নাটর-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশে জ্বালানি তেলের মজুদের পরিমাণ পরিশোধিত ছয় লাখ ২০ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন, অপরিশোধিত ৮১ হাজার ৮৪৬ মেট্রিক টন। মোট সাত লাখ এক হাজার ৯৯৪ মেট্রিক টন। জ্বালানি তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চাহিদা বিবেচনায় চলতি আগস্ট মাসে প্রায় তিন লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ৫০ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেন এবং সেপ্টেম্বরে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন ডিজেল, ২০ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল, ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ও ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেত্রবিশেষে এক হাজার মেগাওয়াট হতে দুই হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিকল্পিত লোড শেডিং করা হচ্ছে। পরিকল্পিত এ লোড শেডিং শিডিউল বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রাহকদের নিয়মিতভাবে পূর্বেই অবহিত করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। জুলাই মাসে ক্রুড অয়েলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৭ দশমিক ৪৮ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে জ্বালানি মূল্যের পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতায় গত ৬ এপ্রিল ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৯৯ দশমিক ৮৩ রুপি এবং পেট্রলের মূল্য সর্বোচ্চ ১১৫ দশমিক ১২ রুপিতে উন্নীত হয়। পরবর্তীতে শুল্ক-করাদি হ্রাসের মাধ্যমে ২২ মে কলকাতায় ডিজেল লিটারপ্রতি ৯২ দশমিক ৭৬ রুপি এবং পেট্রল লিটারপ্রতি ১০৬ দশমিক ৩ রুপি নির্ধারণ করা হয়, যা অদ্যাবধি বিদ্যমান রয়েছে। এরপর গত ৪ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী কলকাতায় ডিজেল লিটারপ্রতি ৯২ দশমিক ৭৬ রুপি বা সমতুল্য ১১৭ দশমিক ৩৪ টাকায় বিক্রয় হচ্ছিল, যা বাংলাদেশ থেকে প্রায় অর্থাৎ ৩৭ দশমিক ৩৪ টাকা বেশি ছিল।