আলোর মুখ দেখছে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিনড্রাইভ

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : যৌথ অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তলদেশে মাল্টি লেন টানেল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে প্রায় ১৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিনড্রাইভ। চট্টগ্রামের মিরসরাইর জোড়ারগঞ্জ থেকে কক্সবাজারের শহরতলী পর্যন্ত এ মেরিনড্রাইভ নির্মিত হবে। এ মেরিনড্রাইভটি নির্মিত হচ্ছে এক্সেস কনট্রোল্ড হাইওয়ে হিসেবে। ট্রাফিক ভলিউম ও প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে মেরিনড্রাইভটি চার এবং ছয় লেন করে করা হচ্ছে। প্রতি লেনের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৫ মিটার করে। মিরসরাই জোড়ারগঞ্জ থেকে নগরীর পতেঙ্গা কর্ণফুলী টানেলের মুখ পর্যন্ত হচ্ছে ছয় লেন এবং টানলের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে কক্সবাজার শহরতলী পর্যন্ত হচ্ছে চার লেন। আর প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় হবে প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার। সমীক্ষা প্রতিবেদনে এমনটাই সুপারিশ করা হয়েছে বলে সমীক্ষা কাজে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক কোম্পানি (এসএমইসি) সূত্রে জানা গেছে।
মেরিনড্রাইভ নির্মাণ সমীক্ষা কাজে ওই কোম্পানি ২০২০ সালের আগস্ট থেকে সমীক্ষা কাজ শুরু করলেও করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছরের মে মাসে তাদের দীর্ঘ সমীক্ষা প্রতিবেদন সম্পন্ন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগে ওই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে সওজ চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা নয়া দিগন্তকে সমীক্ষা প্রতিবেদনটি দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ মেরিনড্রাইভ নির্মাণে কী পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হবে বা কী পরিমাণ ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ হবে বা এ প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করা হবে কি না এ বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা যায়নি।

এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বঙ্গোপসাগরের উপকূল কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে জেলার মিরেরসরাই এবং ফেনীর রেগুলেটর থেকে নোয়াখালীর রহমতখালী রেগুলেটর ও পুরো হাতিয়াসহ ৬৪২ কিলোমিটার উপকূল সুরক্ষায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ মিটার উঁচু করে সুপার ডাইক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড।

২০১৯ সালের শুরুতে বাপাউবো কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ থেকে মিরেরসরাই এবং ফেনী রেগুলেটর থেকে নোয়াখালীর রহমতখালী রেগুলেটর পর্যন্ত (পুরো হাতিয়ার ৮৬ কিলোমিটারসহ) ৬৪২ কিলোমিটার দুইমুখী সড়কসহ গড়ে ১০ মিটার উঁচু করে সুপার ডাইক নির্মাণ প্রকল্প প্রণয়ন করেন এবং নানা ধরনের সমীক্ষাসহ প্রাথমিকভাবে প্রজেক্টে প্রোফাইল প্রস্তুত করেন।

জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা আর সে কারণে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বরফপুঞ্জ গলছে আর সেই সাথে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে প্রকৃতির আচরণ ক্রমান্বয়ে রুক্ষ থেকে রুক্ষতর হয়ে উঠছে এতে প্রতি বছর উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিসহ ও সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

জলবায়ুজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তারই অংশ হিসেবে আগামী ১০০ বছরের টেকসই উন্নয়ন ও উপকূল সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রধান্য দিয়ে সরকার ডেলটা প্লান প্রণয়ন করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বৈশিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ছাড়াও প্রাকৃতিক কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বলা হয়। এ কারণে বর্তমান সরকার, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা ২০০৯ (বিসিসিএসএপি-২০০৯) চূড়ান্ত করা হয়। যা উন্নয়শীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম এই ধরনের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে তা বাস্তবায়নে ২০০৯-১০ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (সিসিটিএফ) গঠন করা হয়।

মূলত তারই আলোকে বাপাউবো নিজস্ব দীর্ঘতম বেড়িবাঁধ কেন্দ্র করেই ওই সুপার ডাইক প্রকল্পটি প্রণয়ন করেছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই প্রকল্পের কারিগরি সমীক্ষা সম্পন্নের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটিও ওই প্রকল্প অনুমোদন করেছিলেন। আগ্রহী দাতা দেশগুলোর কাছে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য ডিপিপি প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছিল। ওই সময়ে নেদারল্যান্ডস ও চায়না উপকূল সুরক্ষা প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে তাদের আগ্রহ প্রকাশের বিষয়টি জানিয়েছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা। একই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (নকশা) মোহাতার হোসেনকে প্রধান করে দুইটি পৃথক কমিটি করে দেয়া হয়েছিল।

প্রথম পর্যায়ে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০ হাজার ১৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের মিরেরসরাই পর্যন্ত ৪৩০ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪ হাজার ৩৬ কোট ৮৩ লাখ টাকা এবং অপর অংশে নোয়াখালীর রহমতখালী রেগুলেটর থেকে ফেনী রেগুলেটর পর্যন্ত ১২৬ কিলোমিটার ও পুরো হাতিয়া উপকূলের ৮৬ কিলোমিটারসহ ২১২ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৫ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।

ওই সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছিলেন প্রস্তাবিত সুপার ডাইক নির্মাণ হবে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১০ মিটার উঁচু করে, এবং সুপার ডাইকের ওপর দুই লেনের (মেটোরেভল পেভমেন্ট) সড়ক এবং তীরের দুই দিকে ঢাল সুরক্ষায় নেয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনায় গ্রহণকৃত প্রকল্পের আলোকে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা থেকে চট্টগ্রামের মিরেরসরাই পর্যন্ত ৪৩০ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণের মধ্যে, ১৯১ কিলোমিটার সন্দ্বীপ, ৬৩ কিলোমিটার কুতুবদিয়ায়, ধলঘাটায় ৩৮ কিলোমিটার এবং মহেশখালীতে ৯০ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণ করা হবে।

এ ছাড়া তা বাস্তবায়নে রেগুলেটর ৩০টি, কানেকটিং ব্রিজ ৭টি (সাঙ্গু নদীতে ৬৮০ মিটার, জলকদর খালে ২৩২ মিটার, ছনুয়া খালে ১২০ মিটার, ইদগাহ খালে ১৪০ মিটার, বাকখালী খালে ২৫০ মিটার, মাতামুহুরী নদীতে ২৩০ মিটার ও বারুয়াখালী খালে নির্মিত হবে ১৬০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ) অপর দিকে রহমতখালীর রেগুলেটর থেকে ফেনী রেগুলেটর পর্যন্ত ১২৬ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণের মধ্যে ৭০টি রেগুলেটর, ১২টি ক্লোজার ও ব্রিজ একটি রয়েছে, এ ছাড়া পুরো হাতিয়ার ৮৬ কিলোমিটার সুপার ডাইক (ঢাল) নির্মাণকাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল ওই প্রকল্পে।
প্রকল্প সমীক্ষার সাথে যুক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অলি আফাজ জানান, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের মিরেরসরাই পর্যন্ত অংশে ৪৩০ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় এবার সংশোধিত করে ৪৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তা বাস্তবায়নে কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিনি জানান, এই সমন্বিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত চট্টগ্রাম কক্সবাজার থেকে শুরু করে নোয়াখালী হাতিয়া জেলা পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকার সুরক্ষার পাশাপাশি এই সুপার ডাইক কেন্দ্র করে শিল্প পর্যটন ও কৃষি ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লবের সূচনা ঘটবে। তিনি জানিয়েছিলেন, জেলার মিরেরসরাই বাস্তবায়নাধীন বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী সীতাকুণ্ড ইকোনমিক জোন, কোরিয়ান ইপিজেড, চট্টগ্রাম বন্দর, বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন এস আলম কোল পাওয়ার প্লান্ট, কক্সবাজার জেলার মগনামাঘাট এলাকায় নৌবাহিনীর সাবমেরিন স্টেশন, ধলঘাট এলএনজি টার্মিনাল ও কোল পাওয়ার স্টেশন, মহেশখালীর মেগা সিটি প্রকল্প, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম ও শিল্প এলাকাসহ পুরো উপকূলীয় এলাকা সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে রক্ষা করবে এবং নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে সুপার ডাইক। এ ছাড়া গৃহীত সুপার ডাইক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, ধলঘাটা ও মহেশখালী দ্বীপ পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের সামগ্রিক মান উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে উপকূলীয় এলাকার সার্বিক যোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রস্তাবিত সুপার ডাইকের সাগর অংশের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে টেকসই বনায়ন ও সমুদ্রের মধ্যে সম্মিলন ঘটিয়ে ইকোট্যুরিজম স্পট সৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত সুপার ডাইক জুড়ে টেকসই উপকূলীয় বনায়নের মাধ্যমে পাখির অভয়ারণ্য সৃষ্টি করা হবে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখাসহ জীববৈচিত্র্যও সুরক্ষিত হবে বলে তিনি মনে করেন।

জানা গেছে, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ডেল্টাপ্লানের অংশ হিসেবে সুপার ডাইকের আদলে গৃহীত চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক-কাম বেড়িবাঁধ প্রতিরক্ষা নিষ্কাশন শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ গ্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে জাপান, কোরিয়া, চায়না, সৌদিয়া আরাবিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ ইতোমধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন সুপার ডাইক নির্মাণ প্রকল্পের সদস্যসচিব ও পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম ডিভিশন-২ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী খ ম জুলফিকার তারেক।

তিনি জানিয়েছিলেন, যেখানে শুধু ২২.৫ কিলোমিটার অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলমান অবস্থায় দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সেখানে পুরো উপকূলজুড়ে ৬৪২ কিলোমিটার সুপার ডাইক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশে যে কী পরিমাণ শিল্প বিপ্লব ঘটবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ওই সময়ে সুপার ডাইক প্রকল্পে চায়না ও নেদারল্যান্ডসসহ বেশ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছিল বলে তিনি নিশ্চিত করে বলেছিলেন, দাতা দেশের সাথে এই প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে সমঝোতার মধ্য দিয়ে খুব দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্তমানে কী কারণে কেন ওই সুপার ডাইক প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখল না তা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র কিছুই বলতে পারেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গৃহীত সুপার ডাইক নির্মাণ প্রকল্পের আর খবর না থাকলেও এগিয়ে গেছে মেরিনড্রাইভ নির্মাণ প্রকল্প। ইতোমধ্যে সমীক্ষা কাজে নিয়োজিত বিদেশেী সংস্থার (ঝগঊঈ) পক্ষ থেকে সমীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.