বাংলাদেশের উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্বে অনুপ্রেরণার গল্প
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এর উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প।
শুক্রবার বাংলাদেশী যুব প্রতিনিধিদল নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তার সাথে সাক্ষাত করার সময় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। বাংলাদেশের সাথে উন্নয়নের যাত্রা ভাগাভাগি করে চলেছে। তাদের জন্য এই চেতনা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, যা দু’দেশ এবং জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বকে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা যেভাবে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে কঠোর পরিশ্রম করে, তাদেরও উচিত ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সোনালী যুগের সূচনা করতে একই আবেগ ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করা।
দ্রৌপদী মুর্মু আরো বলেন, প্রত্যেক ভারতীয়ের হৃদয়ে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের দেশগুলোর গভীর সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। আমরা শিল্প, সঙ্গীত এবং সাহিত্যসহ নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু শেয়ার করি।’
তিনি বলেন, ভারত সর্বদা বাংলাদেশের সাথে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তারা এর পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘আমাদের গভীর সহযোগিতায় উভয় দেশ সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব দেয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দিল্লি এবং লন্ডনে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন দ্রৌপদী।
এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি বলেন ‘ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি যুবকদের নিয়ে গঠিত এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যা আমাদের মতই, যেখানে একটি বিশাল যুব জনসংখ্যা রয়েছে।’
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, তারা সবাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা। তারা শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত ও বাংলাদেশের অনন্য সম্পর্কের ভবিষ্যতের রক্ষক।
তিনি আস্থা ব্যক্ত করেন যে তারা দু‘দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে আগামী বছরগুলোতে বড় ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের গত বছরের গতিধারা অব্যাহত থাকায় এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রামটি ২০১২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো- উভয় দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য ও বোঝাপড়া গড়ে তোলা এবং তরুণদের মধ্যে ধারণার আদান-প্রদান এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি প্রচার করা।