দুর্ভিক্ষ হবে না বাংলাদেশে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করলেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে। দেশের টাকা দেশেই থাকছে। যারা বলেছিল দেশ শ্রীলংকা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে।
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার যুবলীগের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ যুব মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসমাবেশস্থলে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বেলা পৌনে তিনটার দিকে তিনি মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উত্তোলন করা হয় দলীয় পতাকা। এরপর পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হয়।
আসন গ্রহণ করার পর শেখ হাসিনা যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সভামঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে তারা ক্রেস্ট তুলে দেন।
১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমাবেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দেন। বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সে সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে আগামী দিনে যে কোনো সংকট মোকাবিলায় দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে হবে না। সে টাকা কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি আজকে রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। ’৯৬ সালে আমি যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করলাম, ঠিক তার আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। রিজার্ভ ছিল ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ রিজার্ভ আমাদের কাজে লাগছে, কারণ আমরা করোনার টিকা দিয়েছি। আমাদের খাবার, তেল সবকিছু বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। তারপর দুই বছর পর যখন বিশ্ব উন্মুক্ত হয়েছে, তখন ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এসেছে। আমাদের রিজার্ভ তো ব্যবহার করতেই হবে। আট বিলিয়ন আমরা আলাদাভাবে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছি। রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে তো হবে না। সে টাকা কাজে লাগাতে হবে।
শেখ হাসিনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আজ আমরা আমাদের নিজেদের টাকায় বিমান কিনেছি। আমরা পায়রা নদীর ড্রেজিং নিজেদের অর্থায়নে করছি। নইলে এই টাকা বিদেশি ব্যাংক থেকে নিতে হবে। সেই টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে। আজকে আমরা নিজের ব্যাংক থেকে এই টাকা নিয়েছি। নিজেদের রিজার্ভ ব্যবহার করছি। এতে ঘরের টাকা ঘরে থাকছে।
তিনি বলেন, দেশ গড়ার জন্য আমাদের যুব সমাজকে কাজ করতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। দারিদ্র্যসীমায় বিএনপি রেখে গিয়েছিল ৪০ ভাগ, আমরা ২০ ভাগে নামিয়ে নিয়ে এসেছি।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে যুবলীগের মহাসমাবেশ ঘিরে মিছিলে মিছিলে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ নানা রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরে মহাসমাবেশে যোগ দেন। তারা বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে মহাসমাবেশস্থলে আসেন। অনেকে আবার হেঁটে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান। যুবলীগের মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মহাসমাবেশের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মমতাজ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই যুবলীগের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানের ক্রমধারা বর্ণনা ও তার সঙ্গে মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠান ছিল। যুব সংগঠনের উৎসবমুখর এই আয়োজনে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ যুবক মিলিত হয়। যোগ দেন ঢালিউডের সেরা চিত্রনায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস ও চঞ্চল চৌধুরী।
যুব মহাসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়। নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল। এছাড়া পুরো রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকা ও যুবলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়েছে। জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া উদ্যানের বিভিন্ন গেট ও ভেতরে টহল দেয় গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় সরকারের নানা উন্নয়ন ও উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় উন্নয়ন নয়, শুধু লুটপাট করেছে। যাদের নেতা খুন ও অর্থ পাচার মামলার সাজাপ্রাপ্ত, তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না।
মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে যুবলীগের কর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। করোনাকালে যুবলীগের কর্মীরা যেভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। আবাদযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও যাতে অনাবাদি না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন আর স্যাংশন, আমাদের আমদানি সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যুবলীগের নেতারা গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করতে হবে এবং অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ করতে হবে।
বিএনপির নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতারা কখনো ভেবেছিল বাংলাদেশের স্যাটেলাইট আকাশে উড়বে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকে নাকি আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে দেখবে কী করে? আমরা কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া? সবই তো একই ইতিহাস। হাজার হাজার যুব নেতাকে হত্যা করেছেন।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এতে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। মহাসমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের নেতৃত্বে আজ বিএনপি চলে তারা কে? খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে। একটি টাকাও এতিমরা পায়নি। সব টাকা তারা মেরে খেয়েছে। সেই কারণে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তারপর যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে তো আরও এক ধাপ এগিয়ে। মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা হয়েছে। এছাড়া গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ’৭১-এ যেই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বিএনপি সেই জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিল। আজকে আবার সেই জয় বাংলা ফিরে এসেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল। যেই ভাষণ পরে ইউনেস্কোয় বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে আইটি পার্ক, হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তুলে তার সরকার যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এটা সম্ভব ছিল না। তিনি বলেন, ওই এইট পাশ দিয়ে আর মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চালালে দেশের উন্নতি হয় না। তরুণ সমাজের উদ্দেশে বলেন, দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তোমাদের। যুবলীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার জন্য। তিনি বলেন, বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একদা জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে বলেছিলেন যে, তার কিছু না থাকলেও যে মাটি ও মানুষ আছে তা দিয়েই দেশকে গড়ে তুলবেন। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে দেশপ্রেম থাকলে এবং দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ থাকলে সেটা করা যায়। কাজেই একটা আদর্শ নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন, সে স্বপ্ন পূরণে যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। আর এটা হবে যুবলীগের প্রাতষ্ঠাবার্ষিকীতে সবার প্রতিজ্ঞা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাট উন্নত করায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। ১০০টি ব্রিজ একসঙ্গে উদ্বোধন করা, আমি জানি না ইতিহাসে কেউ এর আগে করেছে কিনা। কিন্তু বাংলাদেশ পারে। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। যে যত কথাই বলুক বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা এগিয়ে যাব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আরেকবার ক্ষমতায় এলে সব গিলে খাবে। বিদেশি ঋণ গিলে খাবে। গণতন্ত্র গিলে খাবে। নির্বাচন গিলে খাবে। সুযোগ পেলে তারা বাংলাদেশ পর্যন্ত গিলে খাবে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, খেলা হবে। খেলা হবে। হবে খেলা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে। তৈরি হয়ে যান। প্রস্তুত হয়ে যান। জবাব দেব।
আমির হোসেন আমু বলেন, যারা কয়েকটি জেলায় সমাবেশ করেই উৎফুল্ল, যারা মনে করছেন ধাক্কা দিলেই সরকার পতন হয়ে যাবে, যারা মনে করছেন শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে, আজকের মহাসমাবেশ দেখলে তাদের চোখ খুলে যাবে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তারেক রহমান আর খালেদা জিয়া দুধ খাচ্ছেন, আর বিএনপির নেতারা ছাগলের ৩ ও ৪ নম্বর বাচ্চার মতো লাফাচ্ছে। জীবনেও তো দেশের মানুষের ভালোবাসা আর ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি ছাগলের বাচ্চার মতো শুধু লাফাবে। আর পারলে দেশ ছেড়ে পালাবে।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপির সময় বাংলাদেশকে বলা হতো ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড অব টেরোরিজম’। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এখন বলা হচ্ছে ‘নেক্সট এশিয়ান টাইগার’। উন্নয়নের পুরোটাই নেতৃত্বের দূরদর্শিতার ওপর নির্ভর করে এবং শেখ হাসিনা তার প্রমাণ রেখে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের সেরা ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ বলে অভিহিত করে পরশ বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্ষা করতে পারবেন।