৫৮ এলাকায় ফ্ল্যাট হবে নিম্ন আয়ের মানুষের

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : রাজধানীতে বাসাভাড়ার টাকায় কিস্তি দিয়ে ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এজন্য সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করতে ১ লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। চিহ্নিত হয়েছে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) আওতাধীন ৫৮টি এলাকা।

প্রথম পর্যায়ে পূর্বাচল নতুন শহর ও উত্তরা তৃতীয়পর্ব প্রকল্পসহ তিন এলাকায় প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ড্যাপের ২০২২-২০৩৫-এর কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২৩ নভেম্বর রাজউক ভবনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞার সভাপতিত্বে ড্যাপ কার্যনির্বাহী কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১১ ডিসেম্বর প্রকাশিত ড্যাপ কার্যনির্বাহী কমিটির সভার কার্যপত্রে বলা হয়—নির্বাহী কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি বা ভাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সাশ্রয়ী আবাসনের জন্য ৫৮টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, উত্তরা তৃতীয় পর্ব প্রকল্পসহ তিনটি এলাকায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। স্থানগুলোতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে। রাজউক থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।

সেখানে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে একটি এলাকায় সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প গ্রহণের জন্য সার্ভে, ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের কাজ করছে রাজউক। এ ছাড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে সাশ্রয়ী আবাসন নির্মাণকে উৎসাহিত করতে ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ অনুযায়ী, ভবনের নকশায় ৪০০ থেকে ৬০০ বর্গফুটের কমপক্ষে পাঁচটি ইউনিট থাকলে পরিকল্পনা অনুমোদনপত্রে এফএআর প্রণোদনা প্রদানের কার্যক্রম চলছে।

ড্যাপের পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১ লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আবাসনের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা আছে। ফ্ল্যাটপ্রাপ্তরা দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি অর্থাৎ ভাড়ার টাকায় ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন।

রাজউকের তথ্যমতে, চলতি বছরের ২৩ আগস্ট রাজউক প্রণীত ঢাকা মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-৩৫-এর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। প্রণীত ড্যাপে ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকাসহ কৃষি, জলাশয়, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, যোগাযোগ, বন্যা প্রবাহ এলাকাগুলো চিহ্নিতের সুপারিশ করা হয়। প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় অনেক বিষয় গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষকে আবাসনের ব্যবস্থার বিপরীতে প্রণোদনা দেওয়ারও প্রস্তাব রাখা হয়।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.