অর্থ পাচার মোকাবিলায় গবেষণা সেল খুলল বাংলাদেশ ব্যাংক

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের অর্থ পাচার প্রতিরোধব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর, অর্থ পাচার বন্ধের উপায় এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে করণীয় নির্ধারণে গবেষণা সেল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অধীনে ৯ সদস্যের সেলটি পরিচালিত হবে।

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে সেলটির কার্যক্রম শুরু করতে গত ৫ ডিসেম্বর অনুমোদন দিয়েছেন।

বিএফআইইউ সূত্র জানিয়েছে, গবেষণার কাজটি আগে থেকেই করা হতো একটি বিভাগের অধীনে। এখন একটি ডেডিকেটেড সেল অর্থ পাচার ঠেকাতে গবেষণার কাজটি করবে। পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কেমন তা পর্যালোচনা করা হবে। একজন অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে গবেষণা সেলটি পরিচালিত হবে।

অর্থ পাচার প্রতিরোধের দায়িত্ব বিএফআইইউর ওপর থাকলেও বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর কী পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে, তার আনুষ্ঠানিক তথ্য সংস্থাটি প্রকাশ করে না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যই দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে।

গত অর্থবছরে আমদানিতে উল্লম্ফন হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপে পড়ে বাংলাদেশ, যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে।

গত অক্টোবের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেছিলেন, ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দর দেখিয়ে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। কোন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়—এই প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিশ্বাস বলেছিলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে পাচার হয় ‘সবচেয়ে বেশি’।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর একাধিক বার জানিয়েছেন, গত জুলাইয়ের আগে সম্পন্ন হওয়া আমদানি-রপ্তানির এলসি তথ্য বিশ্লেষণে পণ্যের দর বাড়ানো ও কমানোর বিষয়টি তিনিও দেখতে পেয়েছেন। তাদের ধারণা হয়েছে, ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দরে পণ্য আমদানি হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে।

আবার কম দর দেখিয়ে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। বাকি অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে জানিয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, গত জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এমন ১০০ এলসি বন্ধ করার কথাও তিনি জানিয়েছেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.