আইনজীবী সহকারীদের স্বীকৃতি ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন হচ্ছে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দীর্ঘদিন আন্দোলন পর আইনজীবী সহকারীদের জন্য প্রণয়ন হচ্ছে ‘অ্যাডভোকেট-ক্লাক’ আইন। একটি সর্বজনীন আইনের খসড়া তৈরি করে আগামী ২৮ দিনের মধ্যে এই আইন জাতীয় সংসদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন পাসে জাতীয় সংসেদে সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি দেন স্পিকার।
বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির পঞ্চম মহাসমাবেশে ২০২৩ এ এই কথা বলেন তারা। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সংগঠনটির সভাপতি মো. নুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও উদ্বোধক ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, অ্যার্টনি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. বশির আহমদ প্রমুখ।
আইনজীবী সহকারী সমিতির দাবিগুলোর বিষয়ে অবগত আছেন জানিয়ে স্পিকার বলেন, দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান্য পেয়েছে আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে পেশার স্বীকৃতি। বিচারকাজকে গতিশীল করার মাধ্যমে বিচার প্রাপ্তি সহজলভ্য করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও সুবিচার নিশ্চিত করা ‘৭২-এর সংবিধানের মূল লক্ষ্য। এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আইনজীবী সহকারীরা। তারা জনকল্যান ও সুবিচার নিশ্চিতে কাজ করছে। তাই তাদের স্বীকৃতির জন্য আইনের খসড়া প্রণয়ণে পরিপূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী। সুতারাং একটি কার্যকর আইন প্রণয়নের করে আইন-আবকাঠামোর মধ্যে আইনজীবী সহকারীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে। আইনমন্ত্রীর আশ্বাস যখন দিয়েছেন, ফলে আইনটি চূড়ান্তকরণে আর কোন বাধা নেই। জাতীয় সংসদে ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক ’ পাসে আমি সহযোগিতা করবো।
ভাষার মাসে বঙ্গবন্ধুসহ সব স্বাধীন দেশের নেপথ্যের নায়কদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের কারণে আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়ন করা যায়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যশনাল হিউমেন রাইট অ্যাক্ট, ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড অরগেনাইজেশন অ্যাক্টসহ নানা জনবন্ধব আইন প্রণয়ন করছেন।
অ্যাডভোকেট ক্লার্ক অ্যাক্ট আইনটি প্রণয়নে কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হলো স্বামী-স্ত্রীর মতো। তাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব হোক চাই না। তাই আমি চেয়েছিলাম সময় নিয়ে একটি সর্বজনীন আইন করতে হবে। এছাড়া, আপনাদের দাবি ‘আইনজীবী সহকারী’ আইন কিন্তু বার কাউন্সিউল আইনে আছে ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’। ফলে আইনটি প্রণয়নে অসুবিধা হয়েছিল। এখন ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন নামে সবাই রাজি হয়েছে। এখন আর কোনো বাধা নেই। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে আইনটি চূড়ান্ত করে সংসদে পাঠানো হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
এদিকে, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়নে কোনো দ্বিমত নেই। আইনজীবী সহকারীদের ভারতসহ সবখানে আইনি কাঠামো আছে। এই আইন করা হলে বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে। আইন করা হবে। শেখ হাসিনা সরকারের কাছে কোন দাবির জন্য আন্দোলন করতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী সব জানেন। দ্রুত ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন পাস হবে বলে তিনিও আশা প্রকাশ করেন।