মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এ কাউন্সিলে এশিয়ার অন্য দেশগুলো হলো তুরস্ক ও ইরান। এছাড়া ওআইসির ভাইস প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এ পদে আরব রাষ্ট্র ফিলিস্তিন ও পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়াও নির্বাচিত হয়েছে।
ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পরিষদের (সিএফএম) ৪৯তম অধিবেশনে গতকাল যোগ দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক খুদেবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৫৭ সদস্যের ইসলামী এ সহযোগিতা সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছে আয়োজক দেশ উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার মৌরিতানিয়া।
মৌরিতানিয়ার রাজধানী নৌয়াকচটে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী সিএফএমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে অংশ নেয় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। এবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিল—‘সংহতি: নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি’। এতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নিরাপত্তার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অধিবেশনে দেয়া ভাষণে করোনা মহামারীর সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইসলামবিদ্বেষ বাড়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের উত্থান ও সহনশীলতা কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকার ওপর জোর দেন। এ জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নৌয়াকচট থেকে এক খুদেবার্তায় এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ওআইসির মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হয়েছে বাংলাদেশ। ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে এশিয়া গ্রুপ থেকে স্বাধীন স্থায়ী মানবাধিকার কমিশনের (আইপিএইচআরসি) কমিশনার নির্বাচনে জয়ী হন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী শীপা হাফিজা। পাশাপাশি ওআইসির ভাইস প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে সারা বিশ্বে ওআইসির সদস্য দেশ রয়েছে ৫৭টি। জাতিসংঘের পর সবচেয়ে বড় আন্তঃদেশীয় জোট এটি। প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এ জোট।