৯ মাসে রপ্তানি ৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়াল
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে দেশের পণ্য রপ্তানি আয় ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) জন্য ৫ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে নিট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৭২ কোটি মার্কিন ডলার। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের নয় মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার। সে তুলনায় চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেশি এসেছে ৩১২ কোটি মার্কিন ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয় বাড়লেও সরকার কৌশলগত যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, সে তুলনায় আয় কিছুটা কম অর্জিত হয়েছে। ইপিবি চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকের জন্য ৪ হাজার ২২৬ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তার চেয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ আয় কম এসেছে। মাসভিত্তিক হিসাবেও রপ্তানি আয় সামান্য কমেছে। গত অর্থবছরের মার্চে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৭৬ কোটি মার্কিন ডলার। এবারের মার্চে সেই আয় কিছুটা কমে ৪৬৪ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। এটি গত বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ কম। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মাসভিত্তিক হিসাবে রপ্তানি সামান্য কমলেও সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে।
করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্থবিরতার পরও এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পণ্য খাতের রপ্তানির শক্তির দিকটিই তুলে ধরেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে আয় বেড়েছে এমন পণ্যগুলো হচ্ছে- তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, ক্যাপ, তামাক, কাগজ ও কাগজ পণ্য, ইলেকট্রিক পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও চামড়াজাত পণ্য। অপরদিকে আয় কমেছে- শাকসবজি, ওষুধ, ফার্নিচার, চিংড়ি, বাইসাইকেল, শুকনো খাবার, হোম টেক্সটাইল, টেরি টাওয়েল, চা ও কাঁচাপাটের। জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে বেশিরভাগ আয় এসেছে মূলত তৈরি পোশাক খাত থেকে। ওভেন পোশাক থেকে নয় মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ডলারের। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি। আর নিট পোশাক থেকে আয় এসেছে ১ হাজার ৬১১ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।