শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: আওয়ামী লীগ
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক: সংবিধানের বর্তমান কাঠামো মেনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শনিবার রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ইইউ-এর প্রাক-নির্বাচনি অনুসন্ধানী দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজ বৈঠকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার ব্যাপারেই তারা (ইইউ) আমাদের অঙ্গীকার চেয়েছে। আমরাও বলেছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সম্ভব। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় বেলা ১২টায়। চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল এ বৈঠকে অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গেবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত। অন্যদিকে বৈঠকে অংশ নেয় রিকার্ডো চেলারির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের একটি প্রাক-তথ্যানুসন্ধানী দল।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে ইইউ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারে তারা আশ্বস্ত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংলাপ নিয়ে প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেনি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সংসদ বিলুপ্তির বিষয় নিয়েও প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেনি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও বিধিবিধান অনুসারে আগামী নির্বাচন হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। এখানে পার্লামেন্ট বিলুপ্তির প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপির সঙ্গে ইইউ-এর বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, আমরা বললাম। বিএনপির সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কেন বিতর্ক করতে যাব? সেটা তাদের ব্যাপার।