রেলের জমি ভরাট করছে ইউপি চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রেলের জমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে গোলাম রেলের জমি ভরাট করছে ইউপি চেয়ারম্যান টুকুন নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ রেলগেটের ৪০০ মিটার পূর্বে প্রায় দুই বিঘা আয়তনের এই জায়গা ভরাট করছেন তিনি।
জানা যায়, ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রুটে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। এই রেল লাইনের উভয় পাশে রয়েছে শত শত বিঘা আবাদি জমি ও খাল। তৎকালীন সময় থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসব জমি ভোগ দখল করছে। অনেকে অবৈধভাবে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এসব জমি খনন করে পুকুর নির্মাণ করেছেন। কেউ কেউ আবার রেলের খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ করেছেন। নির্মিত এসব ভবন গ্রাম অঞ্চলে হয়েছে আবাসিক এবং শহরে হয়েছে বিপণী বিতান। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ থেকে ৪০০ মিটার পূর্বে রেল রেললাইনের পাশের নিচু জায়গা মাটি ফেলে ভরাট করছে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকুন।
রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ থেকে শরৎনগর রেলস্টেশন পর্যন্ত এক কিলোমিটার রেল লাইনের দুপাশে শতাধিক বিঘা জমি চাষবাস করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে গোলাম ফারুক টুকুন প্রায় দুই বিঘা নিচু জায়গায় রেলের অনুমতি না নিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করে পাশের রাস্তা সমান সমতল করছেন। এছাড়া শরৎনগর স্টেশনের পাশে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী সমতল ভূমি কেটে পুকুর নির্মাণ করেছে। এই স্টেশনের পাশে অনেকেই আরসিসি ভিত দিয়ে বাউন্ডারি নির্মাণ করে জায়গা দখল করেছেন।
মাটি ভরাটের বিষয়ে গোলাম ফারুক টুকুন বলেন, রেলের জমি হলেও নিচু, তাই ভরাট করছি। এ বিষয়ে রেলের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, রেল লাইনের পাশে মাটি ফেলার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এটা রেলের জায়গা কিনা জানা নেই। তবে দ্রুত একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূ- সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।