সারা বছর সেন্টমার্টিন ভ্রমণে চালু হচ্ছে ‘সি প্লেন’
বিডি২৪ভিইজ ডেস্ক : কক্সবাজারকে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন করে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বছরের পুরো ১২ মাসেই পর্যটকদের যাতায়াতের সি প্লেন ও ক্রুজ শিপ চলাচলের ব্যবস্থার পাশাপাশি সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ইকো ফ্রেন্ডলি হিসেবে গড়ে তুলা হবে এবং এই দ্বীপে যত্রতত্র বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণে বিধিনিষেধ থাকবে একই সাথে সেন্টমার্টিন দ্বীপে এ বছর থেকে পর্যটকদের আগমনও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৩/২ এ ফেলোদের সাথে মতবিনিময়কালে সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর অব মোহাম্মদ নুরুল আবছার। মতবিনিময়কালে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইতোমধ্যে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই দ্বীপকে বাঁচাতে হবে এবং মালদ্বীপ থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের আদলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ওই সব দেশের পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হবে।
মতবিনিময়কালে জানানো হয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) দেশের সবচেয়ে বড় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কউক কর্তৃক যে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েছে তা একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককিছুর পরিবর্তন হয়েছে এবং মেগা প্রকল্পসহ অনেক প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার।
কউক চেয়ারম্যান বলেন, চলমান উন্নয়ন ছাড়াও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারকে সর্বোচ্চ সুন্দর ও ট্যুরিজম জোন হিসেবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌফলদণ্ডিতে রিভাররেইন ট্যুরিজম, কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য সি প্লেন ব্যবস্থাপনার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এবং যতদ্রুত সম্ভব এই উন্নয়নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফিট প্রশস্তকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কউক। বিদেশী পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে এসে মুদ্রাবিনিময় করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে যাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এ সময় কউক চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেলোদের সামনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি প্রমোশন ট্যুরিজম, ব্লু ইকোনমির সম্পদ ব্যবহার করা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজন উপর ফোকাস, বঙ্গোপসাগরে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কাজে লাগানো, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের দিকে নজর রাখার বিষয় উল্লেখ করেন। মতবিনিময় সভায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স ফেলোদের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য, বিচারক, সরকারের অতিরিক্ত সচিব, অতিরিক্ত আইজিপি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।