অর্থনীতি উন্নয়নের ট্র্যাকে ফিরছে

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যায়নি, অর্থনীতিতে কিছু সংকট ছিল, তা কাটিয়ে আবারও উন্নয়নের ট্র্যাকে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে এদিন পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) মহাপরিচালক তাকেয় কনিশি, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নউড হ্যা‌মিলার্স ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানোর রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এসব সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, বৈশ্বিক কারণে অর্থনীতিতে যেসব চ্যালেঞ্জ এসেছিল, তা ভালোমতোই মোকাবিলা করছে সরকার। উন্নয়ন সহযোগীরাও বলছে, সহজ শর্তে

কম সুদের ঋণ নিয়ে উন্নতি করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। অর্থনৈ‌তিক সংকট থাকলেও সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অবস্থার উন্ন‌তি হচ্ছে এবং আমরা স‌ঠিক পথেই আছি। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার পর রাতারা‌তি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা নয়, এজন্য কিছুটা সময় লাগ‌বে। অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি প্রশ্ন অনেকেই বলেন যে, বাংলাদেশ কি দেউলিয়া হয়ে গেল কি না? বাংলাদেশ কোথায় দেউলিয়া? এত বড় একটা দেশ দেউলিয়া হতে পারে না। সংকট অনগোয়িং। সংকট আছে; কিন্তু আমরা সেটাকে ওভারকাম করছি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। বাংলাদেশ যে সম্ভাবনার দেশ, আমরা সেই ট্র্যাকেই ফিরে এসেছি।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখানে তাদের অনেক প্রজেক্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। সেখানে তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবছরই আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়। এ বছর ইনোভেশন বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্য সবার সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে।

শুধু ইফাদ (আইএফএডি) একা নয়, আমাদের অনেক ডেভেলপমেন্ট পার্টনার আছে। যেমন জাপান, এডিবি, তারাও বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসে। তারপর আমরা মিলেমিশে একটি পথ বের করে কাজ শুরু করি। আমরা নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল নই। তবে আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করি। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে আগ্রহী তারা। ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাড) কৃষি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের বড় অংশীদার। ১৯৭৮ সালে শুরু সহযোগিতার পথচলার, চার দশকে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণে কৃষি খাতের উন্নয়নে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৭ প্রকল্প। সরাসরি উপকারভোগীর সংখ্যা কোটিরও বেশি মানুষ।

এই মুহূর্তে ৭ প্রকল্পে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে তাদের। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিতে চলমান সংকট মোকাবিলায় জাপানের সহযোগিতা চাইলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পাশে থাকার কথা জানান রাষ্ট্রদূত। ইফাদের সর্বোচ্চ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গভর্নিং কাউন্সিলের ৪৭তম বৈঠকে যোগ দিতে আজ সদর দপ্তর রোমে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.