রূপপুরের পাম্প হাউজিংয়ের হাইড্রলিক টেস্ট সম্পন্ন
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনা ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণাধীন প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে পারমাণবিক প্রকল্পের প্রথম চুল্লিপাত্র( রিয়াক্টর) এসেছে রূপপুরে। যা উন্নয়নের একটি মাইলফলক।
এই কাজের অংশ হিসেবে ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিয়াক্টর কুল্যান্ট পাম্পের (আরসিপিএস) হাইড্রলিক টেস্ট সম্পন্ন করলো জেএসসিএইএম টেকনোলজির (রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা এটোমএনারগোম্যাস ও রাশিয়ান প্রকৌশল ইউনিয়নের কেরেলিন আঞ্চলিক শাখা) পেট্রযাভদস্কমাস শাখা।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এটি বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের অন্যতম অগ্রগতির অংশবিশেষ। রোসাটমের এক ইমেইল বার্তায় আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয় পাম্প হউজিং প্রস্তুতির সময় হাইড্রলিক টেস্টিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ পরীক্ষা। যন্ত্রাংশগুলোর স্ট্রেন্থ এবং টাইটনেস যথার্থ হওয়া আবশ্যক।
শিডিউল অনুযায়ী আরসিপিএস- এর মধ্যে প্রথমে বিশেষ ভাবে প্রস্তুতকৃত পানি ভরা হয়। এরপর একে তাপে স্টিম করা হয় । হাউজিং ওয়াল উত্তপ্ত করার ন্যুন্যতম তাপমাত্রা হলো ৫২ ডিগ্রী সেঃ। প্রেসারকে ২৪.৫ এমপিএ তে নিতে হয় (২৪০ এট্মস্ফিয়ার এর থেকেও বেশী ) এবং ১০ মিনিট ধরে রাখতে হয়। প্রেসার কমিয়ে আনার পরে ভিজ্যুয়াল ইন্সপেকশন করা হয়। পরের ধাপে আরসিপিএসকে হাউজিংকে অনেকবার তরল পেনেট্রেন্ট টেস্টিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। পরে এই যন্ত্রাংশগুলোকে কাস্টমারের উদ্দ্যেশ্যে পাঠানো হয় ।
আরসিপিএস হাউজিং প্রথম শ্রেণির নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি অংশ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রিয়াক্টর কুল্যান্ট পাম্প রিয়াক্টর থেকে স্টিম জেনারেটরে ক্যুল্যান্ট সার্কুলেশন সরবরাহ করে। ক্যুল্যান্ট প্রেসারের অভ্যন্তরে ১৬০ এট্মস্ফিয়ারে এবং ৩০০ ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রায় পরিচালনা করা হয়। প্রত্যেকটি ইউনিটে চারটি গোলাকার আরসিপিএস পাম্প হাউজিং থাকে ।
রাশিয়ান প্রকল্প অনুসারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।এর নকশা ও বাস্তবায়ন করছে রোসাটম রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ। এই কেন্দ্রে মোট ২টি ইউনিটের প্রত্যেকটিতে ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর থাকছে, যার কর্মক্ষমতা থাকে ৬০ বছর এবং আরও ২০ বছর বাড়ানো যায়। প্রত্যেকটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটটি যথাক্রমে ২০২৩ ও ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হবে। এইএম টেকনোলজি কোম্পানি দুটি ইউনিটের রিয়াক্টর হলের মুল যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করছে । রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, করোনাকালেও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মান কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।