বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক নিন

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য ব্রাজিলের দিকে ঝুঁকছে। বাণিজ্যিক ভারসাম্য নিশ্চিত করতে ব্রাজিল বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়াজাত পণ্যসহ আরও পণ্য আমদানি করতে পারে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে মূলত চিনি, সয়াবিন তেল ও তুলা আমদানি করে। বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে।’ এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রয়োাজনীয়তার ওপর জোর দেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিও ডি জেনিরোতে ২৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক জোট গঠনে জি-২০ টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তার দেশের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার একটি আমন্ত্রণপত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন। এ সময় মাউরো ভিয়েরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ব্রাজিল উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায়।

ব্রাজিলের মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুই দেশের জনসংখ্যা সমান এবং উভয় দেশই ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে বলেন, তার দেশও গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে।’

এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ব্রাজিল একই মত পোষণ করে। তিনি গাজায় ইসরাইলের হামলাকে গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করেন। কারণ, ইরাইলের বর্বরোচিত হামলায় হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ নিহত হয়েছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ হিসাবে ব্রাজিলের বাংলাদেশকে স্বীকৃতির বিষয়টি। উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ১৫ মে দক্ষিাণ আমেরিকার দেশ হিসাবে ব্রাজিল বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।

অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত তার দেশের জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।