ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সহজ করে একটি মানসম্মত আধুনিক কনটেইনার টার্মিনাল। বাড়ায় বন্দরের সক্ষমতা। চট্টগ্রামের লালদিয়া চরে এমন একটি কনটেইনার টার্মিনাল গড়ে তুলতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিদেশি একটি কোম্পানি। তারা বিনিয়োগ করতে চায় প্রায় ৫শ কোটি টাকা। এতে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর নতুন করে আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পটি।
প্রায় ১১ বছর ঝুলে থাকায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব প্রকল্প (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ- পিপিপি) থেকে বাদ দিয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) ব্যাকআপ ইয়ার্ড করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। শেষমেশ ডেনমার্কভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম শিপিং কোম্পানি মার্স্ক লাইন এ টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় ও আইকনিক প্রকল্প বে-টার্মিনাল। এ প্রকল্প হাতে নেওয়ার অনেক আগে থেকেই লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল করার উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ১১ মার্চ লালদিয়া টার্মিনাল প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রথমদিকে শুধু বাল্ক টার্মিনাল করার পরিকল্পনা থাকলেও পরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল করার পরিকল্পনা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক পর্যায়ে লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনালে পাঁচটি জেটি এবং এক হাজার মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০০ মিটার প্রস্থের ব্যাকআপ ইয়ার্ড নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজতর করে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।
দেশের প্রথম পিপিপির ভিত্তিতে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য তখন আগ্রহী পাঁচ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ছিল ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট মাল্টি পোর্ট অপারেটর আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড, দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড, ফ্রান্সের বোলোর, বেইজিংভিত্তিক চায়না হারবার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক গ্লোবাল পোর্ট সার্ভিসেস।
ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
প্রাথমিক পর্যায় থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছিল, লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনালের প্রস্তাবিত জায়গায় ১৭শ পরিবার বসবাস করে। উচ্ছেদ ও ভূমি জটিলতার কারণে প্রকল্পটি এগোনো যাচ্ছে না। পিপিপিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকেও সরে আসে সরকার। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চের শুরুতে ১৭শ অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে লালদিয়া চরের পুরো জায়গা নিজেদের আয়ত্তে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।