রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সারারাত জেগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন। আর আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে দলের নেতাকর্মীরাও যাবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

গতকাল সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূলে অনেক বেশি জলোচ্ছ¡াস হয়েছে। ঘরবাড়ি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে শুকনো খাবার, পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বিভাগীয় টিমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য করবে। আবহাওয়া পরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে তারা সেসব এলাকায় যাবেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য সহায়তা করবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। তাদের কাজই হচ্ছে ফটোসেশন করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোজার মাসেও আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছি, আর তারা ইফতার পার্টি করেছে। বিএনপির সঙ্গে আমাদের নীতিগতভাবেই অনেক পার্থক্য আছে। বাংলাদেশের যে বাস্তবতা-ঝড়, জলোচ্ছ¡াস, বন্যা এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ভূমিকা রাখলেও, তারা রাখে না। তারা বিরোধী দল হিসেবে তাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব কখনো পালন করেনি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো বাংলাদেশে এসেছে। শেখ হাসিনা মানবিক সাহায্য করেছেন। তিনি উদারভাবে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমরা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস রোহিঙ্গাদের পাশে ছিলাম। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা একদিন, বড় জোর দুদিন তারা ফটোসেশনের জন্য গিয়ে চলে এসেছেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.