মালয়েশিয়া যেতে না পারাদের টাকা ফেরতের চেষ্টা
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বিষয়ক তদন্ত কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ৩ হাজার কর্মীর অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে এসেছে। অভিযোগ দেওয়ার সময় ৮ জুন শেষ হলেও এখনো অভিযোগ গ্রহণ করছে মন্ত্রণালয়। মালয়েশিয়া যেতে না পারাদের টাকা ফেরত দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
গতকাল প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান। কর্মীদের যেতে না পারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, তারা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যাদের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তাদের ছাড় দেব না। তাদের আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাকাটা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আমরা বসব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যেন সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। তিনি বলেন, আমরা ইমিগ্রেশনে মালয়েশিয়ার রিপোর্ট, ১০১টা রিক্রুটিং এজেন্ট এবং বায়রা থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। সে হিসেবে একটু সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি একটু সময় চাইছে। আমরা তাদের আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দিয়েছি। ঈদের পরে আমরা রিপোর্ট নিয়ে বসব। প্রত্যেকটা পয়েন্টে, প্রত্যেকটা জায়গায় খোঁজখবর নেওয়ার মাধ্যমে যা বেরিয়ে আসবে সেটার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। আমরা প্রত্যেকটা সেক্টরে যেমন- ইমিগ্রেশন দিয়ে কতজন মালয়েশিয়া যেতে পারছে, সেই প্রতিবেদনও আনছি। মালয়েশিয়ার অনলাইন যে ডিমান্ড আসছে, তারা কবে পাঠিয়েছে সেটাও আনছি। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, একটা সঠিক স্বচ্ছ প্রতিবেদন বেরিয়ে আসুক। কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব না করুক। যার মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। মালয়েশিয়া গিয়ে কর্মীদের কাজ না পাওয়া এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা কাজ পাচ্ছে না আমরা রিক্রুটিং এজেন্সিকে ডেকে এবং যারা কাজ দেওয়ার জন্য ডিমান্ড নোট দিয়েছিল যারা রিসিভার তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। যদি কাজ না হয় তাহলে আমরা রিক্রুটিং এজেন্টের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। রিক্রুটিং এজেন্সি যারা অনুমোদিত সবাই কাজ করবে। আমরা চাই সবাই কাজ করুক, সবার জন্য শ্রমবাজার খোলা থাকুক।
৯৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে বৈধতা দেবে ওমান : ৯৬ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে বৈধতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। একই সঙ্গে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ১২ ক্যাটাগরিতে লোক নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে। গতকাল প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি শ্রমবাজার ইস্যুতে দুবাই, ওমান ও কাতার সফর করেন প্রতিমন্ত্রী। ওমান সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওমানে ৯৬ হাজার কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। এ বৈধকরণে জন্য একটি জরিমানা নেওয়া হয়। এ জরিমানা মওকুফ করার জন্য আমরা ওমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।
ওমান বাংলাদেশ থেকে ১২ ক্যাটাগরিতে লোক নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, তারা দক্ষ কর্মী নিতে চায়। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। দক্ষ কর্মী যাওয়া শুরু করলে অদক্ষ কর্মীও যাওয়া শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সে ব্যবস্থা হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, দুবাই শ্রমবাজার আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দুবাইয়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দুবাই থেকে ইতোমধ্যে ৩ হাজার কর্মীর চাহিদা এসেছে। এর মধ্যে ৪০০ কর্মী চলে গেছে। ৫০০ কর্মীর যাওয়ার অপেক্ষায়।