রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদযাপন

0

পাবনা প্রতিনিধি : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদযাপন। আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পায়রা ও বলুন উড়িয়ে নিউক্লিয়ার ডে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেজ ওসমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর, রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান প্রকল্প পরিচালক সের্গেই লাসতোকিন, রূপপুর প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা রবীন্দ্রনাথ রায়, বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরামানু শক্তি কমিশনের সদস্য আব্দুস সালাম, রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচাজ রুহুল কুদ্দুস প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের রিয়েক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন হয়। এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পরমাণবিক বিশ্বে প্রবেশ করে এবং বিশ্ব পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব পারমাণবিক ক্লাবের ৩২ তম সদস্য রাষ্ট্র। এই দিক থেকে দিনটির তাৎপর্য অনেক। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই নিউক্লিয়ার ডে উদযাপন করা হয়।

রাশিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে। রাশিয়ার সর্বাধুনিক সর্বশেষ প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প নবভরনেস বিদ্যুৎকেন্দ্রের রেফারেন্স প্লান্ট এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। দুই ইউনিট বিশিষ্ট এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার ৩ জি+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়েক্টর স্থাপন করা হবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছরে দিবসটিকে সীমিতভাবে পালনের আয়োজন করেছি। এই দিনটি আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিন আমরা নিউক্লিয়ার বিশ্বে পদার্পণ করেছি। তিনি আরো বলেন, রূপপুর প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছি আশাকরি ২০২৩ সালে ৩০ নভেম্বরের আগেই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেজ ওসমান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ ্ প্রকল্রের মধ্যদিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের মযাদা বেড়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে নির্ধারিত সময়ই এই প্রকল্প উৎপাদনে সক্ষম হবে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.