আসছে তাৎক্ষণিকভাবে ভোটার হওয়ার সুযোগ
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : জাতীয় ভোটার দিবসে নাগরিকদের তাত্ক্ষণিক ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঐ দিন নির্বাচন কমিশনের উপজেলা অফিসগুলোয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেলেই স্পটেই সরাসরি ভোটার হওয়া যাবে। আগামী ২ মার্চ দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে ইসির সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার ইত্তেফাককে বলেন, ভোটার হওয়া চলমান প্রক্রিয়া। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোনো নাগরিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভোটার হতে পারেন। আইনানুযায়ী ভোটার দিবসে সারা দেশের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গতবারের মতো ঝাঁকজমকভাবে পালিত না হলেও চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে দিবসটি পালিত হবে স্বল্প পরিসরে। তবে গতবারের মতো এবারও অনস্পটে ভোটার করবে উপজেলা নির্বাচন অফিসগুলো। বিশেষ করে ভোটার হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার দিবসে কেউ ইসির অফিসে গিয়ে তখনই ভোটার হতে পারবেন। নতুন ভোটারদের নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করা হবে। এরপরই তাদের ভোটার করা হবে।
গত বছর ঘটা করে এই দিবসটি পালিত হলেও এবার কাটছাঁট হচ্ছে। করোনার কারণে এবার বড় কোনো সমাবেশ থাকছে না। তবে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা। আলোকসজ্জা করা হবে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে। ভবনের আশপাশের সড়কগুলোতে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে। ২ মার্চ সকালে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে। ভোটারদের সচেতন করতে বাংলাদেশে টেলিভিশন এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্র্রচার করা হবে। বিশেষ করে বিটিভিতে রেকর্ডিং আলোচনাসভা সম্প্রচারিত হবে। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হবে ক্রোড়পত্র। বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতনতামূলক এসএমএস পাঠানো হবে।
দিবসটিতে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়েই বিকাল ৩টায় জুম অ্যাপে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৮ এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতি বছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে উদ্যাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এক বছর ভোটার দিবস পালনের পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়। জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ’ শ্রেণিতে থাকে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসি।