সুখবরের অপেক্ষায় বাংলাদেশ বের হতে পারে এলডিসি থেকে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘের কাছ থেকে আরেকবার সুখবরের অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে আজ জাতিসংঘ। সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপম্যান্ট পলিসির (সিডিপি) পর্যালোচনা সভা চলছে। এ সভাতেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে যাবে না এলডিসি থাকবে সে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের এ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সিডিপির (ভার্চুয়াল) সভা চলছে। বাংলাদেশের উত্তরণের বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত আসবে।
সূত্রগুলো জানায়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করে। ওই সময় জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) জানিয়েছিল, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বিবেচ্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে তা ছয় বছর ধরে রাখতে হবে। তিন বছর পরপর পর্যালোচনা করা হবে। তিন বছর পর সিডিপির সেই ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা শেষ হবে আজ শুক্রবার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেও আরও তিন বছর পর্যবেক্ষণে থাকবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দেওয়া হবে। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ এখন যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, ওষুধ খাতে সুবিধা, মেধাস্বত্ব সুবিধাসহ যেসব সুবিধা পাচ্ছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার হবে।
তবে করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এ প্রস্তুতিকাল আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) প্রফেসর শামসুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা আশা করছি বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সিদ্ধান্ত দেবে সিডিপি। তবে প্রস্তুতিপর্বের সময় দুই বছর বাড়ানো হয় কিনা, সে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। এটি হলে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।