উন্নত বিশ্বের মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু টানেল
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : সৎ-যোগ্য-নির্ভীক-দৃঢ়চেতা নেতৃত্বে ধারাবাহিক সরকার পরিচালনায় উন্নয়ন-অগ্রগতির অর্জন দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই দৃশ্যমান হয়ে থাকে। মহান স্রষ্টার অপার কৃপায় অদম্য গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে পরাভূত করার অপশক্তির সব অকৌশল ইতোমধ্যেই নিষ্প্রভ হয়েছে। জনগণের সামগ্রিক কল্যাণে জীবন-জীবিকা সচল করার প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক উন্নয়ন সর্বাধিক প্রণিধানযোগ্য। উন্নত বিশ্বের উদাহরণ পর্যালোচনায় প্রতিষ্ঠিত; নগরায়ণ-শিল্পায়নের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে আধুনিক-প্রাগ্রসর যোগাযোগব্যবস্থা।
দীর্ঘকালব্যাপী বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম ব্যবস্থার অচলায়ন-অনড় সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছিল ব্রিটিশ ভারতে সড়ক-মহাসড়ক-রেলপথ সমৃদ্ধ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বেনিয়ার শোষণ-বঞ্চনার আড়ালে একদিকে ছিল জোরপূর্বক কাঁচামাল উৎপাদন-সরবরাহ এবং রপ্তানি। অন্যদিকে উৎকর্ষ যন্ত্রকৌশল ব্যবহারে প্রস্তুতকৃত পণ্য ভারতে আমদানির দ্বিমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছিল পরিকল্পিত যোগাযোগ উন্নয়নে। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ঔপনিবেশিক দেওয়াল ভেঙে কথিত মুক্তির আচ্ছাদনে নতুন আন্তঃঔপনিবেশিক বেড়াজালে নিপতিত হয় বাঙালি জাতির পূর্ব বাংলা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও নবতর আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার ছিল ইতিহাসসমৃদ্ধ। সাম্প্রতিককালে জনঅধ্যুষিত মাতৃভূমির অদ্যাবধি কর্মসংস্থানের প্রধান নিয়ামক কৃষি-রপ্তানিমুখী শ্রমঘন পোশাকশিল্পের সঞ্চালন প্রবাহে উন্নত পরিবহণ যোগাযোগব্যবস্থা পর্যাপ্ত গুরুত্ব পেয়েছে। মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনামলে তৈরি হয়েছে এশিয়ার প্রাচীন ও দীর্ঘতম ‘সড়ক এ আজম’ বা ‘গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড’। চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ হয়ে যশোর-ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া ও পাকিস্তানের পেশোয়ারের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের কাবুল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই সড়ক।
ভারতবর্ষের সম্রাট ও শুর বংশের প্রতিষ্ঠাতা শের শাহ ১৫৩৭ সালে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সেনানায়ক হিসাবে বাংলা জয় করেন। ১৫৪১ থেকে ১৫৪৫ সালের পাঁচ বছরের শাসনামলে শের শাহ এ সড়কটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে কাবুল থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পর্যন্ত উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে সংযুক্ত করেছিলেন। মোট আড়াই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি সেই সময় উপমহাদেশের প্রধান সড়ক হিসাবে ব্যবহৃত হতো। সড়কটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন জনপদ-নগর ও ব্যবসা কেন্দ্র। সড়ক পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক কাজ গতিশীল এবং প্রতিরক্ষার কৌশলগত দিক বিবেচনায় সমগ্র সাম্রাজ্যে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা।
ব্রিটিশ শাসনামলে সৈন্য চলাচলের সুবিধা এবং ডাক বিভাগের উন্নতির উদ্দেশ্যে সড়কটি সংস্কার করে কলকাতা থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। ওই সময় এটি ‘গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। মূলত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সড়কটিকে ভিত্তি করেই মৌলিক সড়ক অবকাঠামোর সূচনা হয়েছে। এটি বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ৩টি দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে এশিয়ান হাইওয়ে হিসাবে। চলমান বিশ্বায়নের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট হলো বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিবিড়করণ, যা বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মধ্যেই বিকশিত। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত সড়ক, রেল-নদীপথে ভ্রমণ ও মালামাল পরিবহণব্যবস্থা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে, ১৯৫৯ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএন-এসক্যাপ) এ অঞ্চলের ১৫টি দেশের জন্য এশিয়ায় রাজপথ প্রকল্প-বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর পরের বছর প্রণীত আন্তঃএশিয়া রেল যোগাযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরো এশিয়ায় যোগাযোগ অবকাঠামো সৃষ্টির প্রয়াস অধিকতর বিস্তৃত হয়। এতদঞ্চলে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বা যুদ্ধকালীন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দুই যুগের অধিক এ প্রকল্প দুটির দ্রুত বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। ১৯৯২ সালে উপরোল্লেখিত প্রকল্প দুটিকে একীভূত করে পরিবহণ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ভূ-উপরিস্থ পরিবহণব্যবস্থার উন্নয়ন বা নামে একটি নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়; পরবর্তী পর্যায়ে যা বঙ্গোপসাগর বহুমুখী কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বা নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ এবং সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ এ চুক্তিতে সম্মত হয়। প্রণীত রেল যোগাযোগে সম্ভাব্য দুটি পথ সিলেট এবং কক্সবাজারের মাধ্যমে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নির্দেশিত ছিল। এ প্রকল্পের ভিত্তিতে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো ২০০০ সালে মালামাল পরিবহণের জন্য নামে স্বাক্ষরিত চুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল, মোট ৩৮ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সংবলিত ২৩টি রাজপথে বিভক্ত যোগাযোগব্যবস্থায় মালামাল পরিবহণ সংক্রান্ত সমন্বিত পরিবহণব্যবস্থা।
ফলে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থার উদ্যোগ এর লক্ষ্য অর্জনের পথ সুগম করে এবং আন্তঃএশীয় সমন্বিত পরিবহণব্যবস্থায় অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় হয়। ইতোমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য সীমিত পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সড়কপথে মালামাল পরিবহণব্যবস্থা চালু হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারত-বাংলাদেশ যাত্রীবাহী বাস যোগাযোগব্যবস্থা। বিশ্ববাসীসহ দেশের জনগণ সম্যক অবগত আছেন, ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
বাংলাদেশের প্রথম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে প্রথম ও দীর্ঘতম এ টানেল নির্মাণের সূচনা হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও চীনের মহামান্য প্রেসিডেন্টের প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরে যানজট কমে আসবে।
চীনের সাংহাইয়ের আদলে নদীর দুই তীরকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করবে দৃষ্টিনন্দন এ টানেল। প্রকল্প প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ টানেলে প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং টিউবগুলোর দূরত্ব প্রায় ১২ মিটার। টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে রয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে ওভারব্রিজ। ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় নেমে যাওয়া এ টানেল দিয়ে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ-পূর্বে আনোয়ারায় সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে স্থলপথ বের হবে। ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার টানেলে দুটি টিউব দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ থাকবে। নগরীর আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাটগড় সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক এবং পতেঙ্গা বিচ সড়ক দিয়ে টানেলে প্রবেশ করা যাবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম শহর-বন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গে উন্নত-সহজ যোগাযোগব্যবস্থা স্থাপিত হবে। ফলে ভ্রমণ সময় ও খরচ কমবে এবং পূর্ব প্রান্তের শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত মালামাল পরিবহণ প্রক্রিয়া সহজতর হবে। কর্ণফুলী টানেল শুধু দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে না; দেশের প্রধান পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন-বান্দরবানসহ পাহাড়, সমুদ্র ও নদীর ত্রিমাত্রিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজতর যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্পের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মোট অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। মূল টানেলের বাইরে দুই পান্তে ৫ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজও প্রায় শেষের পথে। সুড়ঙ্গের ভেতরের রাস্তা এবং সুড়ঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তিনটি ক্রস প্যাসেজ বা সংযোগ সড়কের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। চলমান বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ২৬ নভেম্বর ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা টানেলের দক্ষিণ সুড়ঙ্গের পূর্তকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে চলমান উন্নয়ন কাজের প্রাসঙ্গিকতায় বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কোনোভাবেই উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না।
আজকের দিনে আমি সত্যিই আনন্দিত। কারণ, যে কাজ আমরা শুরু করেছিলাম; সেটির পূর্তকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিন পর দ্বিতীয় টিউবের কাজও সম্পন্ন হবে এবং পুরো টানেলই তখন আমরা উদ্বোধন করব। এ টানেল বাংলাদেশের জন্য শুধু নয়; দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই প্রথম। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীলতা পাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে এটা অবদান রাখবে।’ চট্টগ্রাম-দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে বঙ্গবন্ধু টানেলের ইতিবাচক গুরুত্বপূর্ণ উপমা স্থাপনের বিষয়টি সহজেই অনুমেয়।
বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্প কারখানাসহ অর্থনৈতিক বিপ্লব এবং প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ অবশ্যই ত্বরান্বিত হবে। টানেল ঘিরে উদ্ভাসিত হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্টমার্টিন-পার্বত্য অঞ্চলের সমুদয় পর্যটনশিল্প। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডের ব্যাপক পরিবর্তনের অভূতপূর্ব আশা-প্রত্যাশা বিপুলভাবে অনুভূত। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, বঙ্গবন্ধু টানেল দেশের অর্থনীতির আকার এবং জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে গেলে তাদের এলাকা নবতর রূপান্তরে অত্যুজ্জ্বল হবে। ইতোমধ্যে এলাকার রাস্তাঘাট প্রশস্তকরণ, কোরিয়ান-চীন ইপিজেড তৈরির মতো কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে। উজ্জ্বল এক সমৃদ্ধ দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা পুরো দেশ-দেশবাসীকে সব দিক থেকে উপকৃত করার প্রাণস্পন্দনে অচিরেই এ বঙ্গবন্ধু টানেল অনবদ্য অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছে। সফল হোক বর্তমান সরকার গৃহীত জনকল্যাণে নিবেদিত সব উন্নয়ন উদ্যোগ, এটাই প্রত্যাশা।