আট মাস পর স্পট এলএনজির প্রথম কার্গো বাংলাদেশে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ আট মাস পর স্পট মার্কেট থেকে সংগ্রহকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসবাহী (এলএনজি) ট্যাঙ্কার প্রবেশ করল বাংলাদেশে। ১ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ঘনফুট এলএনজি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ট্যাঙ্কারটি গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভেড়ার কথা। উচ্চমূল্যের কারণে গত বছরের জুনের পর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি স্থগিত রাখে বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট এলএনজির দাম আবারো কমতে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এশিয়ার বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবারো এলএনজি আমদানি শুরু করেছে জ্বালানি বিভাগ।
দীর্ঘ আট মাস পর স্পট মার্কেট থেকে সংগ্রহকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসবাহী (এলএনজি) ট্যাঙ্কার প্রবেশ করল বাংলাদেশে। ১ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ঘনফুট এলএনজি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ট্যাঙ্কারটি গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভেড়ার কথা। উচ্চমূল্যের কারণে গত বছরের জুনের পর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি স্থগিত রাখে বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট এলএনজির দাম আবারো কমতে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এশিয়ার বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবারো এলএনজি আমদানি শুরু করেছে জ্বালানি বিভাগ।
বাংলাদেশের মতো এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির বেশ কয়েকটি দেশ গত বছর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বর্তমান মূল্য পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা সবাই এখন স্পট মার্কেটে ফিরে আসছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও ভারত আবারো স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চাহিদা বেড়ে গিয়ে পণ্যটির মূল্য আবারো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।
বাজারদর এ মুহূর্তে নিম্নমুখী থাকলেও এলএনজির আন্তর্জাতিক বাজারে এখনো সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে রেফিনিটিভের এলএনজি বিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ওলুমিদে আযায়ির ভাষ্য হলো, সামনের দিনগুলোয় বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছ থেকে আরো অনেক ক্রয়াদেশ পাবে।
তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাজারের নিয়ন্ত্রক হলো সরবরাহকারীরা। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশ ব্রুনেইর প্রত্যাশা পূরণের মতো কোনো প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারে কিনা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় বেসিনে এখন অন্য কয়েকটি উৎপাদনকারী দেশ রয়েছে, যাদের বাংলাদেশে খুব সহজেই পণ্য পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এমন বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি, ব্রুনাই ও ইন্দোনেশিয়ার বোন্টাং এলএনজি প্রকল্প।
বাংলাদেশ এখন স্পট মার্কেটের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায়ও ওমান ও কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করছে। এর মধ্যে ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে। কাতারের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ১৫ বছরের।