দেশের প্রথম অত্যাধুনিক সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র চবিতে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম অত্যাধুনিক সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ। আগামীকাল রোববার সেই গবেষণা প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার।
তিনি বলেন, আগামীকাল মন্ত্রী ক্যাম্পাসে আসবেন। এ উপলক্ষে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। এদিন প্রথম পর্বে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অংশগ্রহণ এবং দ্বিতীয় পর্বে মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শিরোনাম সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মুখ্য আলোচক থাকবেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন চবি উপ–উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে। বিশেষ অতিথি থাকবেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক এবং চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী।
এরপর দ্বিতীয় পর্ব দুপুর দেড়টায় মেরিন সায়েন্সস অ্যান্ড ফিসারিজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক নবনির্মিত মেরিন সায়েন্স অনুষদ ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ১টি ইনস্টিটিউট ও ২টি ডিপার্টমেন্টের থাকবে মোট ৫৬টি কক্ষ। টিচার্স ব্লকে আছে ৩৫টি কক্ষ। আরও আছে মেরিন একুরিয়াম ভবন। গবেষণার সুবিধার্থে সামুদ্রিক নানা পর্বের নানা গোত্রের প্রাণী থাকবে এ একুরিয়ামে। একুরিয়ামের পাশাপাশি একটি হ্যাচারিও রয়েছে এই অনুষদের অধীনে।
প্রতিটি ইনস্টিটিউট ও ডিপার্টমেন্টের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক ল্যাব। একটি কমন স্পেসের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্যান্টিন থাকবে এ অনুষদ ভবনে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রার্থনার জন্য থাকবে নামাজের কক্ষ। অনুষদ এলাকায় রয়েছে একটি লেক যেখানে শিক্ষার্থীরা সাঁতার কাটতে পারবেন।
অত্যাধুনিক এই অনুষদের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সোলার সিস্টেম। নির্দিষ্ট ভবনের ছাদে সোলার প্যানেলগুলো বসানো থাকবে যা থেকে অনুষদের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎই পাওয়া যাবে। বাকি ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয় সরবরাহ করবে।
মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম জানান, এ অনুষদের অধীনে বর্তমানে মেরিন সায়েন্স ইন্সটিটিউট, ওশানোগ্রাফি বিভাগ ও ফিশারিজ বিভাগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া আরো নতুন দুটি বিভাগ অনুষদের অধীনে যুক্ত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।