বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুসহ নৌকা প্রতীকের বিরোধিতাকারীদের বহিস্কারসহ ও বিচার দাবী করেছেন জাতসাখিনী ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী আনোয়ারা সুলতানা

0

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল হক বাবুসহ নৌকা প্রতীকের বিরোধিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের দল থেকে বহিস্কারসহ তাদের বিচার দাবী করেছেন বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী আনোয়ারা সুলতানা। আজ রোববার দুপুরে কাশীনাথপুরস্থ তার বাসনভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী করেন।

তিনি বলেন, অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কিছু সত্য কথা বলার জন্য। আপনার জানেন গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউনিয়নে আয়োমী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। শুরু থেকেই বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোস্তাকদের দোসর আওয়ামী লীগের নামধারী বেড়া উপজেলার উপ-নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল হক বাবু এবং তার ভাই মুকুসহ দোসররা এই ইউনিয়নসহ বেড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিীকের সরাসরি বিরোধীতা করে। যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে তাদের সম্পর্কে এবং প্রতীক সম্পর্কে বিভিন্ন সময় অশ্লীল কথাবার্তা বলে। এক পর্যায়ে নৌকা প্রতীককে হারাতে মরিয়া হয়ে উঠে। তার ভাই মুকুসহ অন্যদের দিয়ে নৌকা প্রার্থীর ভোট কেটে নৌকার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য, পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগের তৃনমুল কর্মিরা ভোটে বিজয়ের পরিবেশ তৈরি করলেও আওয়ামী লীগের নামে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করে সেই তথাকথিত কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, আব্দুর রশিদ, রেজাউল হক বাবু গংরা আমিসহ বেড়ার ৬টি ইউনিয়নে নৌকাকে পরাজিত করে। তারা বিএনপি জামায়াতের পক্ষে টাকা খেয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি কাজ করে। যার ফলশ্রুতিতে আমি সামান্য ভোটে পরাজিত হই।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন নারী। দেশের নারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। নৌকা মহান স্বাধীনতার প্রতীক। নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক। নৌকা প্রতীককে সামনে রেখে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমি আমার সর্বত্র দিয়ে নৌকা প্রতীকের মান সম্মান ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। দিনরাত পরিশ্রম করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে প্রচার করেছি। অথচ বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোস্তাকদের দোসর আওয়ামী লীগের নামধারী বেড়া উপজেলার উপ-নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল হক বাবু এবং তার ভাই মুকু ও দোসররা এই ইউনিয়নে নৌকা ডুবিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন স্থানে দাম্ভিকতা নিয়ে বলে বেড়ায় “বেড়ায় আমরা সব এখানে শেখ হাসিনা বা নৌকা কিছু না” আমরা যার পক্ষ নিব তাকে যেভাবেই হোক নির্বচিত করবো। আমরা তা প্রমাণ করেছি।
আমি আপনাদের মাধ্যমে খন্দকার মোস্তাকদের দোসর জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল হক বাবুসহ তার দোসরদের বিচার চাই।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.