ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কবরস্থান বিলিনের পথে
কমল চন্দ্র রায় , ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুর ফুরবাড়ী পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ‘‘কানাহার কবরস্থান’’ অবহেলায় ও তদারকির অভাবে বিলিনের পথে মা,বাবা,আত্মীয় স্বজনের স্মৃতি বিজড়তি কবর গুলো। কবর স্থানের চারপাশের পাড় ভেঙ্গে ভেঙ্গে অন্যর জমি গ্রাস করতে চলছে এবং অপর দিকে অবাধে চলছে গরু-ছাগল-হাঁস পালন, ট্রাক, ট্যাংকলরী, ট্রিলার পরিস্কারের কাজ। কবরস্থানের যে পবিত্রতা তা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন।
প্রায় ৩০ একর জায়গায় মধ্যে জলাশয় ও পুকুরের পাড় নিয়ে কবর বিস্তৃত। ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বৃহতৎ পুকুরে মাছ চাষ যোগ্য তাই কানাহার পুকুর নামে সবার কাছে পরিচিত। পৌর শহরের বুন্দিপাড়া,স্বজনপুকুর, রেল-গুমটি,ডাঙ্গা, বারোঘরিয়া, কাঁটাবাড়ী, বাজার, নিমতলা মোড়সহ প্রায় এলাকার অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর পর কবর দেওয়ার একমাত্র কবর স্থান এটা।
কানাহার পুকুরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ফুলবাড়ী ২য় সর্বোচ্চ বৃহৎ ঈদের জামাতের ঈদগাহ মাঠ। এখানে রয়েছে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি, ঈদের মাঠ সংস্কার, পুকুরের পাড় সংস্কার করার কথা বলে প্রতি ঈদে নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিকট টাকা কালেকশন। বিভিন্ন সময় মৃত ব্যক্তির জানাযায় অংশগ্রহন কালে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য,উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র কবরস্থানের দুর্দশা দেখে অচিরেই কবর স্থানের কবর গুলো বাঁচাতে গাইডওয়াল দেওয়া আশ্বাস দিয়েই থাকে কিন্তু স্থান ত্যাগ করার পর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন কার হয় না। কেন্দ্রীয় কানাহার পুকুর এবং পাড় খাস খতিয়ানে অন্তভুক্ত হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে মাছ চাষ করে খাবার জন্য দিয়ে আসছেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পুকুরটি সাব কন্টাক্ট এর মাধ্যমে অন্য কাউকে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এপযর্šÍ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমেও কানাহার পুকুর অথবা কবরস্থানের কোন প্রকার সংস্কার কাজ লক্ষ করা যায় না। বরং সাব কন্টাক্ট মালিক পুকুরে লিটার ও বিভিন্ন মেডিসিন এবং কেমিক্যাল ঔষধ ব্যবহার করায় কারনে পুকুরে পানিতে অজু অথবা কবরে দেওয়া করার পর হাত ধুতে পারছেন নাযা পানি ব্যবহারের অনুপুযুগি হয়ে পরেছে।
কবরস্থানের প্রধান গেটের ডান পাশে কবর গুড়িয়ে দিয়ে পুকুরের পূর্ব কোনে ট্রাক্টর,টলি,ভ্যান, রিক্সা পরিস্কারের জন্য কিছু অসাধু মালিক ও চালক ব্যবস্থা করেছে। কবরস্থানের সাথে জড়িত সকলেই দেখে কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ বিষটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন না। কেমন যেন একটা অরাজগতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে।
পুকুরের মাছ চাষি মাছ বৃদ্ধির জন্য সুস্ক মৌসুমে পুকুরে মাছ বৃদ্ধির জন্য স্যালো মেশিন দিয়ে পানি পর্যাপ্ত রাখছেন। পুকুরটির জলাশয় বৃহৎ হওয়ায় বাতাসে পানির ধাক্কায় কবরস্থানের কবরসহ পাড় ভেঙ্গে ফেলছে। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক কবরস্থান পুকুরের জলাশয় গ্রাস করে নিয়েছে। আর কতখানি ভাঙ্গলে উদ্ধর্তনের কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে তা নিয়ে এলাকবাসী সংসয়। বিষয়টি অনেকের ভাবনায় বিষয় হওয়ায় পরিবারে মা-বাবা-স্বজ নদের পাশে নিজের কবর দেওয়া জায়গাটুকু থাকবে কি ?