ঈশ্বরদীতে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি!

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দিয়াড়বাঘইল গ্রামে সোমবার ভোরে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ঘরের দরজার সামনে কাফনের কাপড়, গোলাপপানি, গামছা ও সাদা কাগজে লেখা হত্যার হুমকি সম্বলিত তাগজ রেখে গেছে দূর্বৃত্তরা।

দিয়াড় বাঘইল গ্রামের আকমল হোসেন বাবু বলেন, গত রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দরজার মুখে দুর্বৃত্তরা একটি প্যাকেটের ভেতরে এক টুকরা সাদা কাপড়, আগরবাতি, গোলাপজল ও গামছা রেখে যায়। সকালে শফিকুলের স্ত্রী ঘরের দরজা খুলেই এটি দেখতে পান। এক টুকরা সাদা কাপড়ের উপর লাল কালিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন কথা লেখা রয়েছে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, আকমলের একমাত্র ছেলে টনিক এবং তাঁর চাচাতো ভাই স্বরনকে হত্যা করা হবে।

এদিকে এই চিঠি পাওয়ার পর থেকে ওই পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও উৎসুক লোকজন ওই বাড়িতে এগুলো দেখার জন্য ব্যাপক ভীড় জমিয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আকমল বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল আলম নান্টু জানান, জিনিসগুলো থানায় জমা দেয়া হবে। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বের করবে। এলাকায় এ ধরনের ঘটনার বারবার পূর্ণারাবৃত্তি সত্যিই দুঃখজনক।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারা এই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং সাধারণ মানুষকে হুমকি দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল রাতে আকমল হোসেন বাবুর বাড়ি এবং তাঁর প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম প্রামাণিকের বাড়িতের সামনে দুটি বোমা সাদৃশ্য বস্ত কে বা কারা রেখে যায়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী
থানা –পুলিশ, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন। সবশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেটি নিস্ক্রিয় করে। ওই সময়ে ইউনিট প্রধান পুলিশের পরিদর্শকদের (ইন্সপেক্টর) শফিকুল ইসলাম সেটি নিস্ক্রিয় করার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এটি মূলতঃ কোন বোমা ছিল না, প্লাস্টিকের কোটার মধ্যে পোড়া মবিল, জর্দা এবং ইলেকট্রিক বাল্ব দিয়ে সেটি তৈরি এবং পলিথিনে মুড়িয়ে বোমা সাদৃশ বস্তু বানানো হয়েছিল।