ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর মাটি লুট !
ঈশ্বরদীতে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পদ্মানদীর তলদেশ ও তীর কেটে মাটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে এসএলআর ইটভাটার স্বত্বাধিকারী ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ লিখন আলী।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: ঈশ্বরদীতে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পদ্মানদীর তলদেশ ও তীর কেটে মাটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে এসএলআর ইটভাটার স্বত্বাধিকারী ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ লিখন আলী। এতে নদী পাড়ের ফসলী জমি ভাঙ্গনের শঙ্কায় পড়ছে। লিখন উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা। চুরি করা মাটি নেওয়া হচ্ছে ইউনিয়নের বিভিন্ন ইট ভাটায়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে লিখনের দাবি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেই নদীর মাটি ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতির সুযোগে লিখন প্রায় দেড় মাস ধরে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে পদ্মা নদীর মাটি কেটে বিভিন্ন ইটের ভাটায় বিক্রি করছে। নদী কাটার পাশাপাশি তিনি তীরের জমিও কেটে উজাড় করে ফেলছেন। এস্কেভেটর মেশিন নিয়ে ওই নদীতে মাটি কাটা শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা নদীর তীর রক্ষায় মাটি কাটতে বাধা দিলেও কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর তলদেশে প্রায় ১১-১২ ফুট গভীর করে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। খননকৃত মাটি শ্যালো মেশিন চালিত ট্রলি দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। ওই এস্কেভেটর মেশিন এবং ট্রলির মালিক তিনি নিজেই। এ ছাড়া একইসাথে নদীর তীর কেটেও উজাড় করা হচ্ছে। এতে তীরের ফসলী জমি বন্যায় ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়ছে।
অভিযোগের বিষয়ে মেম্বার মোঃ লিখন আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারার সঙ্গে যোগাযোগ করে মাটি কাটা হচ্ছে। খননকৃত মাটি ইটের ভাটায় নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরিফ বলেন, নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে আমরা অনেক বলেছি। কিন্তু ইটভাটার মালিকেরা কারও কথাই শুনছেন না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল বলেন, করোনাক্রান্তিতে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে কিছু অসাধু স্বার্থান্বেষী চক্র মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।