নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন দ্বিতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

0

সোম মল্লিক যশোর প্রতিনিধি : নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায়শত বছরের পুরাতন দ্বিতল মূল ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানী ঘটাতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিক্ষার্থী- শিক্ষকবৃন্দ। ছাদ থেকে খসে পড়ছে চুন সুড়কি পড়ছে মোয়া মুড়কির মত, ইটের খোয়া,রডের ভগ্নাংশ। একটানা বর্ষা হলেই ছাদ বেয়ে বৃষ্টির জল নেমে শ্রেণিকক্ষ ভিজে যাচ্ছে।

এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিগণ ১৯২৭ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। নওয়াপাড়ার প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা এ বিদ্যাপীঠের নির্মিত পাকা দোতালা ভবন সময়ের পালাবদলে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বার্ধক্যে এসে স্কুলটি সেজেছে বৈধব্যের সাজে। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা আতংকে থাকে, দুর্ভাবনায় থাকে-কখন চুন সুড়কির স্তুপ মাথায় ভেঙ্গে পড়ে প্রাণ যায়। শিক্ষকদেরর শংকাও কম থাকেনা।

কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় অভিভাবকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন বেশ কয়েকবার। ১৯১৭ সালের ২৩ আগস্ট থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুলটি সরকারিকরণ করেছেন।

এ স্কুলটি সরকারি স্কুল হিসাবে পূর্ণতা পায়। কিন্তু জরাজীণর্ শ্রীহীন ভবনটির শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনা। প্রায় ৪ বছর ধরে স্কুলটিতে কোন নতুন ভবনের বরাদ্দ পায়নি। প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। পুরাতন মূল ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা পূর্বক ভেঙ্গে ফেলা দরকার। তা’ ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনাসহ একাডেমিক ওয়ার্ক সুষ্ঠুভাবে করতে বহুতল বিশিষ্ট নয়াভবন বরাদ্দ পেলে ভাল হয়।

জীর্ণতা দূর করার পাশাপাশি ঝুঁকিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী। স্কুলটি পিইসি, জেএসসি, এসএসসি (সাধারণ), এসএসসি(ভোক) ও বাউবি’র এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাতীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদি এ বিদ্যালয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। জাতীয় ও স্থানীয় স্বার্থে এ স্কুলের জীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন পাকা ভবন নির্মাণ করা খুবই দরকার।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.