নওয়াপাড়ায় শুরু হয়েছে ওএমএস কার্যক্রম : ক্রেতাদের লম্বা লাইন

0

সোম মল্লিক, যশোর প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সবচেয়ে বেশী নিন্ম আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছে। তাদের দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকট। এ সংকট কমাতে সবার জন্য পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ওএমএস’র চাল-আটা ডিলার কর্তৃক বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ওএমএস’র কর্মসূচির প্রতিকেজি চালের মূল্য ৩০ টাকা ও আটার মূল্য ১৮ টাকা।

ডিলার প্রতিদিন মোট পাঁচ’শ জনের কাছে ১৫০০ কেজি চাল ও ১০০০ কেজি আটা বিক্রি করার বরাদ্দ রয়েছে বলে জানান ওএমএস এর ডিলার গোলাম জহিরুল হক লিখন। সোমবার সকালে বাজারের কলাহাটায় অবস্থিত অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের লম্বা লাইন।

তবে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় দির্ঘ্য লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেককে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। এ সময় সরখোলা থেকে চাল কিনতে আসা রাজিয়া বেগম বলেন ২ ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল পেলাম না, আটা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। আগামীকাল আরো সকালে আসতে হবে চাল কিনতে। একই অভিযোগ বৌবাজারের জয়নালের, তিনি বলেন সকাল ৯ টায় এসেও চাল পেলাম না ডিলার বলছে আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবে চাল/ আটার মান নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুদি দোকানদার বলেন আমি এখান থেকে নিয়মিত চাল/ আটা ক্রয় করি। যথেষ্ট ভালো মানের চাল/আটা পাচ্ছি।

ওএমএস এর ডিলার গোলাম জহিরুল হক লিখন জানান, নওয়াপাড়ায় মোট ৪ জন ডিলারের মাধ্যমে সকাল ৮ টা থেকে চাল/ আটা বিক্রি করা হচ্ছে। বেলা ১১ টার পরপরই চাল/আটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। একজন ডিলারের জন্য প্রতিদিন ১৫০০’শ কেজি চাল ও ১০০০ কেজি আটা বরাদ্দ থাকে। করোনার ভয়াবহতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা বার বার অনুরোধ করছি সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে। কিন্তু কেউ কথা শুনছে না।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.