সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতায় নাকাল মানুষ, ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ

0

রিজাউল করিম সাতক্ষীরা: গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরা পৌরসভা বিভিন্ন ও য়ার্ডও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাড়িঘর, পুকুর-ঘাট, খাল-বিল, ডোবা-নালা, পায়খানা-মলমূত্র-আবর্জনা পানিতে একাকার হয়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের শংকা দেখা দিয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ। ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ। অনেক এলাকায় কেউ মারা গেলে কবর দেওয়ার পর্যন্ত জায়গা নেই।

বাড়িঘরে পানি ওঠায় কোন মতে খাটের উপর রান্না-খাওয়া দাওয়ার কাজ চলছে। রাতে আবার সেই খাটেই ঘুম। পায়খানাগুলো ডুবে যাওয়ায় দিনের বেলা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে নারীরা পড়ছেন বিপাকে। সেই সাথে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। অনেকের পোল্ট্রি মুরগীর খামার পানিতে ডুবে গেছে। হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। সরজমিনে সাতক্ষীরা পৌরসভার মুনজিতপুর, মুন্সীপাড়া, রথখোলার বিল, সদর উপজেলার ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধ এলাকার বাড়িঘর, রাস্ত-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কয়েক ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। ছোট ছোট ভেলা তৈরি করে প্রয়োজনীয় কাজ মেঠাচ্ছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার কয়েকটি গ্রামের পানি ধুলিহরের বাঁশগাধা খাল হয়ে সুপারিঘাটা সুইসগেট দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু বিলের চেয়ে নদীর তলদেশ উঁচু হওয়ার কারণে এই পানি নদীতে যেতে পারছে না। এজন্য জলাবদ্ধতা ভয়ারহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ তাদের জানমালের নিরাপত্তা ও নিজেদের বসত বাড়ি বাঁচানোর জন্য স্বেচ্ছায় বেতনা নদীর পলিমাটি শরানোর চেষ্ট করছে। অপরদিকে, সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের পানি ধুলিহর ইউনিয়নের সুপারিঘাটা ও ছাকলার সুইসগেট দিয়ে পানি নদীতে প্রবাহিত হয়। কিন্তু নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় তা পানি নিষ্কাশনের সক্ষমতা হারিয়েছে। এতে বেতনা নদীর তীরবর্তী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মাছখোলা, শাল্যে, ধুলিহর ইউনিয়ন এর দামারপোতা, বাঁগডাঙ্গা, বড়দল, গোবিন্দপুর, কাজিরবাসা, তালতলা, বালুইগাছা, ধুলিহর সানাপাড়া ও জাহানাবাজ গ্রামের শত শত পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.