নওয়াপাড়া পৌরসভার সেই মৎস্য ঘের ও খাল পরিদর্শন করলেন মেয়র শান্ত
সোম মল্লিক, যশোর প্রতিনিধি : নওয়াপাড়া পৌরসভার সেই মৎস্য ঘের ও পানি প্রবাহে বাধাদানকারী খাল পরিদর্শন করলেন নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত। এসময় তিনি পৌরসভার ৪ ও ৫নং ওয়ার্ড সংলগ্ন বুইকরা সরকারি কবরস্থান ও দেবুর মিল এলাকায় দুটি মৎস্য ঘের এলাকায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি খোজ খবর নেন।
এসময় ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মোল্যা ও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পলাশ শেখসহ স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে বাস্তবতা অবলোকন করেন। পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মোল্যা জানান, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হতে যাচ্ছিল। পৌর মেয়র ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান দিতে তিনি নিজে উপস্থিত হন।
এসময় এলাকাবাসি জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি চওড়া খাল ছিল। ওই খালের একটি অংশের বেশ কিছু জমি লিটু বেগম ক্রয় করে মৎস্য ঘের তৈরী করে। কিন্তু পানি প্রবাহের জন্য কোন জায়গা না ছেড়ে সে সম্পূর্ণ জমির পাশ ঘেষে মৎস্য ঘের তৈরী করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়।
যে কারণে ওই সব এলাকার পানি নিষ্কাশন না হয়ে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। ঘটনার সমাধান করতে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান মোল্যা, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন পলাশ ও শিরিনা বেগম (মহিলা কাউন্সিলর)সহ স্থানীয় শ্রী দেবু বৈরাগী, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মহসিন মোড়ল, ডাঃ মোশাররফ, আলহাজ্ব আব্দুল মালেক হাওলাদার, সালাম শেখ, সিরাজ তরফদারকে নিয়ে পৌরসভায় একটি আলোচনা সভার দিন ধার্য করা হয়।
এব্যাপারে নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের পানিবন্দি মানুষের পানি নিষ্কাশনের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে দেখা যায় দীর্ঘদিনের যে খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতো।
সেই খালটি দিয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় সমস্যা তৈরী হয়েছে। উক্ত সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান করতে ওই দুই ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পৌরসভায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের পানিবন্দি মানুষ অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠা দুটি মাছের ঘেরের পাড় কেটে পানি সরানোর ব্যবস্থা করে। পরের দিন ঘের মালিক লিটু বেগম অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।